এ সব কৌশল মানলে ঘন ঘন রেস্তরাঁয় গেলেও বাড়বে না ওজন, সুস্থ থাকবে শরীর

0
402

খবর৭১ঃ বাড়িতে যতই মুখরোচক পদ রান্না হোক, দিন সাত-দশেকে অন্তত এক দিন রেস্তরাঁয় গিয়ে না খেলে ষোলো কলা পূর্ণ হয় না। অনেকের ক্ষেত্রে তা সপ্তাহে তিন-চার দিনও হয়ে যায়। কিন্তু স্বাদকোরকের স্বস্তি মিললেও নিয়মিত রেস্তরাঁর খাবার চাখতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়ে যায় লিভার! অতএব খাদকের পেটের সমস্যা অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। আর সঙ্গে বাড়তে থাকে ওজন।

কিন্তু এত কিছুর পরেও রেস্তরাঁয় খাওয়ার লোভ সামলানো যায় না। রসনাতৃপ্তির জন্য ভিড় করতে হয় সেই রং-বেরঙের রেস্তরাঁয়। ‌‌‌তবে যদি তেমন কৌশলে খাবার অর্ডার করতে পারেন, তা হলে রোস্তরাঁ থেকেও পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় ডায়েট। অন্তত ক্ষতির কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া তো সম্ভব হবেই।
জেনে নিন, রেস্তরাঁয় গিয়েও কী ভাবে পেট সুস্থ রাখবেন এবং ওজনও ঠিক রাখবেন। রইল কয়েকটি টিপ্‌স।
১ কোনও রেস্তরাঁয় যাওয়ার আগেই দেখে তাদের মেনু দেখে নিন। আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন কোন খাবারটা অর্ডার করবেন। কারণ রেস্তোরাঁয় গিয়ে তাড়াহুড়তে খাবার অর্ডার করতে গিয়ে অনেক সময়েই অস্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেন অনেকে। তাই আগেই ঠিক করে রাখুন কী খাবেন।
২. রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার আগে হালকা কোনও খাবার খেয়ে যান। এতে পেট কিছুটা ভরা থাকবে। অতিরিক্ত খিদে নিয়ে রেস্তরাঁয় গেলে পরিমাণের তুলনায় বেশি খাবার খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে, যার অধিকাংশের মধ্যেই ক্যালোরির পরিমাণ যথেষ্ট। রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার আগে টক দই খেয়ে যেতে পারেন। এতে পেট অনেকটাই ভরা থাকে।
৩. রেস্তরাঁয় খাবার টেবিলে আসার আগে যথেষ্ট পরিমাণে জল খান। ফলে জল খেয়েই পেট ভরে যাবে এবং রেস্তোরাঁর ক্যালরিযুক্ত খাবার আপনি কম খাবেন।
৪. মেন কোর্সের আগে স্যুপ অর্ডার করুন, এতে পেট ভরে যাবে কিছুটা। ফলে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমবে।
৫. খাবারের সঙ্গে অনেকে বেভারেজ বা বিভিন্ন ধরনের পানীয় অর্ডার করেন। এই পানীয়গুলিতে ব্যাপক পরিমাণে চিনি থাকে। এই ধরনের পানীয় না নিয়ে সাধারণ জল খান।
৬. খাবারটা কী ভাবে বানানো তা দেখে নিন। চেষ্টা করুন প্যান ফ্রায়েড, ফ্রায়েড, ক্রিসপি এগুলোর বদলে স্টিমড, গ্রিলড, রোস্টেড ও পোচড খাবার খেতে।
৭. নিজের খাদ্যাভ্যাস ও পেট অনুযায়ী খাবার অর্ডার করুন। আপনার সঙ্গে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা কী অডার্র করছেন তার দ্বারা প্রভাবিত হবেন না।

8. যে খাবারটা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়, সেটাই অর্ডার করুন। কারণ সেই খাবারটি অনবরত তৈরি হতে থাকে। এমন খাবার অর্ডার করবেন না যার বিক্রি সেই রেস্তরাঁয় খুবই কম। এতে বাসি বা অনভ্যস্ত হাতে তৈরি খাবার খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।
৯. চেষ্টা করুন অন্ধকার রেস্তোরাঁ এড়িয়ে চলতে। প্লেটে যথেষ্ট আলো না পড়লে খাবারে কোনও অস্বাস্থ্যকর বস্তু পড়েছে কি না তা সহজে চোখে পড়ে না। তাই পরিষ্কার উজ্জ্বল আলোর রেস্তোরাঁয় যান।
১০. কখনওই তাড়াহুড়ো করবেন না রেস্তরাঁয়। ভাল করে চিবিয়ে খাবার না খেলে হজমের সমস্যা হবে।
১১. এমন খাবার অর্ডার করুন যাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। পারলে সঙ্গে স্যালাড নিন। স্যালাড বেশি মাত্রায় খেলে পেট ভরা থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here