এসিআই ও বিকাশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর,কৃষি পণ্যের পেমেন্ট বিকাশে

0
661

খবর৭১: এসিআই এর ফসলি অ্যাপ ব্যবহারকারী কৃষকরা কৃষি উৎপাদন পণ্যের পেমেন্ট বিকাশে করতে পারবেন। আজ এ লক্ষ্যে, বাংলাদেশের কৃষি উপকরণ খাতে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান এসিআই লি. এবং দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ড. ফা হ আনসারী এবং বিকাশ-এর চীফ কমার্সিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এসিআই লি. এর ফিনান্স ডিরেক্টর মো. মনির হোসেন খান, এফসিএ; ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি বিভাগের জিএম শামীম মুরাদ, কন্টেন্টস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার ফাইয়াদ আহমেদুল হাই এবং বিকাশ এর হেড অব অল্টারনেটিভ চ্যানেল মাসরুর চৌধুরী, কমার্সিয়াল ডিভিশন-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ তারিকুল ইসলাম খান।

এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় এসিআই-এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘ফসলি’ এবং ‘রূপালি’ কৃষকদের জন্য নতুন পেমেন্ট অফার নিয়ে আসবে এবং কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় বীজ, সার, কীটনাশক, খামার যান্ত্রিকীকরণ এবং গবাদি পশুর স্বাস্থ্যরক্ষা পণ্য ক্রয়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে এসিআই বিকাশ ব্যবহার করবে। ‘ফসলি’ ব্যবহারকারীরা খুব শীঘ্রই সরাসরি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে পেমেন্ট করার সুযোগ পাবেন।
পাশাপাশি, এসিআই এর নির্ধারিত বিক্রেতারা পণ্যের মূল্য বিকাশ মারচেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে গ্রহন করতে পারবেন।

বর্তমানে ১ লক্ষাধিক কৃষক ‘ফসলি’ ব্যবহার করছেন। এটি মাঠ থেকে ফসল কাটার ক্ষেত্রে কৃষক, খুচরা বিক্রেতা, ডিলার, সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের জন্য জিও-ডাটা ও উপগ্রহচিত্রের বিশ্লেষণ ভিত্তিক কৃষি পরামর্শ প্রদানের একমাত্র ডিজিটাল সার্ভিস। ‘ফসলি’ ছাড়াও এসিআই এবছরের শেষভাগে মৎস্যচাষের সাথে সম্পৃক্তদের জন্য ‘রূপালি’ নামের আরও একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছে। কৃষি সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট উপ-খাতগুলোর জন্য আরও বেশকিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে।

এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ড. ফা হ আনসারী বলেন, “বিকাশ-এর মাধ্যমে এখন থেকে আমাদের সেবা গ্রহণকারী কৃষকদের জন্য লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা অফার করতে পারব। আশা করছি, বিকাশ-এর সাথে এই অংশীদারিত্ব দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে”।
বিকাশ-এর চীফ কমার্সিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, “এই অংশীদ্বারিত্বের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা। তাঁরা এখন যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে কৃষি উপকরণ ক্রয় করতে পারবেন। আবার উৎপাদিত পণ্যের মূল্যও বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারবেন। যা কৃষকদের সময় এবং খরচ বাঁচাবে। পাশাপশি কৃষক তার কাঙ্খিত কৃষি উপকরণ যথাসময়ে হাতে পেয়ে তার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং যথাসময়ে বাজারজাত করতে পারবেন”।
‘ফসলি’ বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস)-এর পক্ষ থেকে ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’তে অ্যাগ্রিকালচার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড এবং গত অক্টোবরে চীনের গুয়াংঝৌতে অনুষ্ঠিত ১৮তম এপিক্টা অ্যাওয়ার্ড-এ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন্স ক্যাটাগরিতে মেরিট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।

ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অর্ন্তগত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল/ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here