এবার বিশ্বকাপ মাতাবেন ৭৩৬ খেলোয়াড়

0
266

খবর৭১: বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে কতজনের রয়েছে ফুটবলের বৈশ্বিক আসরে খেলার অভিজ্ঞতা? কোন ক্লাবের সব থেকে বেশি খেলোয়াড় থাকবেন রাশিয়ায়? সবচেয়ে বেশি বয়সী বা সবচেয়ে তরুণ খেলোয়াড় কে? বিশ্বকাপের ৩২ দলের এমন সব খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেছে ফিফা ডটকম।

রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া ৭৩৬ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৫৩৬ জনই প্রথমবারের মতো খেলবেন এই টুর্নামেন্টে। আগে খেলা ২০০ জনের রয়েছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা। ১৮৬ জন ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে, ৬১ জন ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে, ২১ জন ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে ও একজন ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে খেলেছেন।

২০০২ বিশ্বকাপে খেলা মেক্সিকোর সেন্টার-ব্যাক রাফায়েল মার্কেজ চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি গড়বেন এবার। এই তালিকায় থাকা বাকি তিনজন হলেন- আন্তোনিও কারবাহাল (মেক্সিকো), লোথার ম্যাথিউস (জার্মানি), গিয়ানলুইগি বুফন (ইতালি)।

ইংল্যান্ডের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে জায়গা পাওয়া সব খেলোয়াড়ই তাদের ঘরোয়া শীর্ষ লিগের। নিজেদের ঘরোয়া লিগ থেকে ২১ খেলোয়াড় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। ২০ খেলোয়াড় নিয়ে তৃতীয় স্থানে সৌদি আরব।

অন্যদিকে সেনেগাল ও সুইডেন নিজেদের ঘরোয়া লিগের একজন খেলোয়াড়ও নেয়নি। একজন করে খেলোয়াড় নিয়েছে বেলজিয়াম, আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও সুইজারল্যান্ড। রাশিয়া বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া ফুটবলারদের ৭৪ শতাংশই ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেন।

রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে ৫৩ জনের রয়েছে বিশ্বকাপে গোল করার অভিজ্ঞতা। তাদের মধ্যে ১০ গোল করে শীর্ষে রয়েছেন জার্মানির টমাস মুলার। দ্বিতীয় স্থানে আছেন কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ (৬টি)। পাঁচটি করে গোল আছে অস্ট্রেলিয়ার টিম কাহিল, আর্জেন্টিনার গনজালো হিগুয়াইন, লিওনেল মেসি ও উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজের।

মিসরের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঠাঁই পেয়েছেন ৪৫ বছর ৫ মাস বয়সী গোলরক্ষক এসাম এল-হাদারি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় তিনি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন হাদারির চেয়ে ছয় বছরের ছোট মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কেজ।

এবারের বিশ্বকাপের তিনজন কোচ আলিও সিস (সেনেগাল), মাদেন ক্রাস্তাইচ (সার্বিয়া) ও রবের্তো মার্তিনেসের (বেলজিয়াম) চেয়েও বয়সে বড় এল-হাদারি। রাশিয়ায় কোনো ম্যাচে মাঠে নামলেই কলম্বিয়ার ফারিদ মন্দ্রাগনকে (৪৩ বছর ৩ তিন) পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ খেলা সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় হবেন এল-হাদারি।

সেনেগালের কোচ আলিও সিসের সঙ্গে উরুগুয়ের ৭১ বছর বয়সী কোচ অস্কার তাবারেজের বয়সের পার্থক্য ২৯ বছর। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়সী কোচ জার্মানির অটো রেহাগেলের পরেই অবস্থান হবে তার। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে গ্রিসের কোচ হিসেবে রেকর্ড গড়েন রেহাগেল।

রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে তরুণ খেলোয়াড় হলেন অস্ট্রেলিয়ার ১৯ বছর ৫ মাস বয়সী উইঙ্গার ড্যানিয়েল আর্জানি। নাইজেরিয়ার ফেমি ওপাবুনমি (১৭ বছর দুই মাস) ২০০২, ইংল্যান্ডের থিও ওয়ালকট (১৭ বছর তিন মাস) ২০০৬, ডেনমার্কের ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন (১৮ বছর ৪ মাস) ২০১০ ও বেলজিয়ামের ফাব্রিস অলিনগা (১৮ বছর এক মাস) ২০১৪ বিশ্বকাপের সবচেয়ে তরুণ খেলোয়াড় ছিলেন।

এবারের বিশ্বকাপে মোট ৭৩৬ খেলোয়াড়ের গড় বয়স প্রায় ২৮ বছর। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গড় বয়সের দিক থেকে এটা সবচেয়ে বেশি। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে এবারের বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছেন ১৬ জন খেলোয়াড়।

এদিক থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির পরের স্থানেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ (১৫)। বার্সেলোনা থেকে খেলবেন ১৪ জন। ১২ জন করে খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন চেলসি, পিএসজি ও টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে। রাশিয়া বিশ্বকাপে মোট খেলোয়াড়দের মধ্যে ১২৪ জন ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেন। তালিকায় পরের দুটি স্থানে রয়েছে স্পেন (৮১) ও জার্মানি (৬৭)।

রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় এগিয়ে মেক্সিকোর রাফা মার্কেজ ও আর্জেন্টিনার হাভিয়ের মাসচেরানো। ১৬টি করে ম্যাচ খেলেছেন তারা। তাদের পরেই রয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি (১৫ ম্যাচ) ও জার্মানির মেসুত ওজিল (১৪ ম্যাচ)। এরপর রয়েছেন ১৩টি করে ম্যাচ খেলা জার্মানির টমাস মুলার, ম্যানুয়েল নুয়ার, স্পেনের সের্গিও রামোস ও রিয়াল মাদ্রিদের ত্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here