এবার ফেনীর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ!

0
355

খবর৭১ঃ ঢাকা ব্যাংকের পর এবার ফেনীর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার শহরের মিজান রোডের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ ও পরবর্তীতে জিবি ইনচার্জ হাসান মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে ৩ জন গ্রাহক লিখিত অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ এলাকার প্রবাসী শাহ আলামের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৭ লাখ ও তার স্ত্রী রেজিয়া সুলতানার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর ২০ জানুয়ারি তাকে বরখাস্ত করে তদন্ত শুরু করেন।

পরে তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয় থেকে একটি টিম এসে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে যান। দফায় দফায় তারা দুই গ্রাহক ও হাসান মোহাম্মদ রাশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

এদিকে সোমবার বিকালে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আবদুস সালামের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৩ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ করেন।

সূত্র আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হাসান মোহাম্মদ রাশেদ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার ক্যাশ ইনচার্জের দায়িত্বপালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর বদলি হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ শাখার জিবি ইনচার্জ ও ঋণ বিভাগের দায়িত্বপালন করেছেন। বর্তমানে তিনি একই ব্যাংকের চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট শাখায় কর্মরত আছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত শাহ আলাম জানান, তার নামে স্ত্রী রজিয়া সুলতানা ১৭ লাখ টাকার এফডিআর করেন ও তার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ২৭ লাখ টাকা জমা রাখেন। কিছুদিন পর টাকা তুলতে গিয়ে অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় স্বামীকে জানালে তিনি দ্রুত দেশে ফিরে আসেন।

তিনি অভিযোগ করেন, একাধিকবার স্টেটমেন্ট চাইলেও তাকে রাশেদ তা দেননি। পরবর্তীতে তিনি ব্যাংকে লিখিত আবেদন করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান মোহাম্মদ রাশেদ জানান, দুটি চেকের মাধ্যমে রেজিয়া সুলতানার স্বামী তার ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান।

তাদের বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগ করে তিনি বলেন, রজিয়া সুলতানা বিভিন্ন মানুষকে চেক দেন। টাকা উত্তোলনের সময় তাকে (রজিয়া সুলতানা) ব্যাংক থেকে ফোন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অপর অভিযোগকারী আবদু সালাম নিকটাত্মীয় দাবি করে হাসান মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, তার সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৬ লাখ টাকার লেনদেন ছিল। ২৪ মার্চ ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চেক দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ৩৩ লাখ টাকা দাবির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক রেহেনা আক্তার জানান, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে গ্রাহকদের লিখিত আবেদন করেছেন। তাদের বিষয়টি প্রধান কার্যালয়ের তদন্তাধীন রয়েছে। রোববার একজন মৌখিকভাবে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানান। প্রধান কার্যালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here