খবর৭১ঃ এবার টেস্ট ক্রিকেটের প্রচলন হতে যাচ্ছে জার্সি নম্বরের। ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটের পোশাকে ক্রিকেটারের নাম কিংবা জার্সি থাকে না। আন্তর্জাতিক টেস্টে এবার সেই প্রচলনই করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
আইসিসির সবুজ সংকেত মেলার পর দুই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজে নম্বর এবং নাম সম্বলিত জার্সি পরে মাঠে নামবেন ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়রা এখন টেস্ট জার্সিতে ১ থেকে ৯৯ পর্যন্ত নম্বর নিতে পারবেন।
১৮৭৭ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। সেই থেকে গত ১৪২ বছর কোন টেস্টেই জার্সি নম্বর এবং নাম ছিল না। এবার নতুন ইতিহাস লিখতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডে ক্রিকেটের শুরুতেও ছিল না নম্বর কিংবা খেলোয়াড়দের নাম। ১৯৯২ বিশ্বকাপে সর্বপ্রথম রঙিন জার্সির সঙ্গে পেছনে খেলোয়াড়দের নাম খেলার প্রচলন হয়। আর ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে নামের সঙ্গে যুক্ত হয় জার্সি নম্বর।
টেস্টে জার্সি নাম্বর না আসলেও ২০০১ সালে ‘ক্যাপ নম্বর’ প্রচলন করে ইংল্যান্ড। এরপর অন্যরাও ক্যাপে নম্বর লেখা শুরু করে। এরপর অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে জার্সিতে নম্বর লেখা শুরু হয়।
এবার আন্তর্জাতিক টেস্টেও দেখা যাবে নাম এবং জার্সি নম্বর। টেস্টের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এরিমধ্যে দিবা-রাত্রির ম্যাচ হচ্ছে গোলাপি বলে। এবার দেখার বিষয় অদূর ভবিষ্যতে টেস্ট খেলোয়াড়রা রঙিন পোশাকে মাঠে নামেন কিনা।