এখন জয়ী হতে জনগণের ভোট নয়, নৌকা প্রতীক লাগে’

0
247

খবর৭১ঃ এখন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হতে নৌকা প্রতীক লাগে, জনগণের ভোট লাগে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হতে নৌকা প্রতীক লাগে, জনগণের ভোট লাগে না। অলিখিত বাকশাল তো এখনও চলছে। সেই সাথে আছে বাকশালের রক্ষীবাহিনীও। দেশে এখন শুধুমাত্র একদল নয়, এক ব্যক্তির বেপরোয়া শাসন চলছে। কেবল প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই হবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চার দিন পরেই মহান স্বাধীনতা দিবস। হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে যিনি এই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জীবন মৃত্যুকে পরম ভৃত্য করে রণাঙ্গণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অসীম সাহসে, যার ঘোষণায় গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, সেই বীরউত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী, চার বারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার। আজ আর দেশের মানুষের বুঝতে এতটুকু বাকি নেই যে, প্রধানমন্ত্রীকে চরম প্রতিহিংসার বাসনা চরিতার্থ করতে পেয়ে বসেছে। তিনি পরিত্যক্ত অন্ধকার স্যাঁতসেতে কারাগারে ভয়াবহ ও চূড়ান্ত অসুস্থ দেশনেত্রীর যন্ত্রনার ছটফটানি দেখে আনন্দ উপভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চান না।’

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘চোখ কান খোলা রেখে জনগণের দিকে তাকিয়ে দেখুন তারা কি চাচ্ছে। তাদের ফুঁসে ওঠার সময় এসেছে। বেগম খালেদা জিয়া এখন প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা। গণতন্ত্রের মায়ের জন্য তার আন্দোলনরত সন্তানরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়ে আছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অভিমান, ক্ষোভ ও বিদ্রোহের জন্য জনগণ অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে। যেকোন সময় জনতার বিস্ফোরণ শুরু হবে- যা কল্পনাও করতে পারছেন না। তাই সরকারকে বলছি-আজই নিজেদের শোধরান। বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত বাকশাল কার্যকর থাকলে নির্বাচন নিয়ে কোন বিতর্ক থাকতো না, প্রশ্ন উঠত না। বাকশাল ছিল সর্বোত্তম পন্থা। প্রধানমন্ত্রী এতদিন পর খোলস ছেড়ে আসল রুপে বেরিয়ে এসেছেন। গণতন্ত্র-গণতন্ত্র বলে কথার কুহেলিকা ভেদ করে প্রধানমন্ত্রীর গণবিরোধী নাৎসিবাদের মূল চেহারাটা জনগণের নিকট উন্মোচিত হলো। অনেকদিন পর প্রধানমন্ত্রী তার আসল রাজনৈতিক বিশ্বাসটি প্রকাশিত হলো।’

রিজভী হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। জনগণের ধৈর্য ও সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। সরকার যেন নিজেদেরকে অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে না দেয়। মিডনাইট ভোট ডাকাতির পর গোটা দেশের ভোট বঞ্চিত মানুষ এমনভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে যে, গণবিস্ফোরণ শুরু হলে গণভবনের ইট পাথরও থাকবে না। জনগণ কতটা ঘৃণা করছে এই সরকারকে তার সামান্য প্রমাণ হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে না এসে তীব্র নীরব প্রতিবাদ করছে।ভোট কেন্দ্রে এখন কুকুর-বিড়াল আর পুলিশ ছাড়া কেউ আসছে না।মাংশ-খিচুড়ি খাইয়েও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারছে না ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here