এক হাঁচিতেই এক লাখ জীবাণু!

0
440

খবর ৭১:এক বিশেষজ্ঞ বলছেন, একটি হাঁচিতে এক লাখের মতো জীবাণু চারপাশে ২৫ ফুট পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। হাঁচির মাধ্যমে মুখ থেকে যে বাতাস বেরিয়ে আসে, তার গতি থাকে ঘণ্টায় ১০০ মাইল।

এই গতিতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া।
বিশেষজ্ঞ ড. রজার হেন্ডারসন জানান, হাঁচি দেওয়ার সময় মুখের সামনে হাত দিলেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে, এর সঙ্গে মুখ থেকে শ্লেষ্মা ক্ষুদ্র ফোঁটার আকারে ছিটে আসে। এক হাঁচিতেই এমন ৪০ হাজার শ্লেষ্মা ফোঁটার আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে থাকে এক লাখের মতো জীবাণু। আর এগুলো ২৫ ফুট দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচিতে এত জোর থাকে যে, দুই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া প্রায় অসম্ভব বিষয়।

তিনি আরো বলেন, দেহের বেশ কয়েক ধরনের পেশি এবং পেশিগুচ্ছ সক্রিয় হয়ে ওঠে হাঁচি দেওয়ার সময়। অবশ্য এতে বিশেষ কোনো সুবিধা নেই। অর্থাৎ, চোখ খোলা রাখলে যে বিশেষ কিছু ঘটবে তা নয়।

চোখ খুলে হাঁচি দিতে পারলেও সমস্যাও নেই। তবে একটা কথা অনেকেই বলেন যে, জোর করে চোখ খুলে রেখে হাঁচি দিলে কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় না।
শীতের শুরু থেকে শেষ অবধি বিভিন্ন সময় অনেকেরই সর্দি লাগবে। এ সময় একের পর এক হাঁচির সমস্যায় ভুগতে হবে। যদিও সর্দির সমস্যা ৮-১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়, তবুও বেশ পেরেশানি দিয়ে যায়। নাকে শ্লেষ্মা জমে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে শ্লেষ্মাকে পাতলা করে পথ খোলা হয়।

হাঁচি দেওয়ার সময় তাই সবারই সাবধান থাকা উচিত। মুখে টিস্যু বা অন্তত হাত দিয়ে এটাকে যতদূর সম্ভব ছুটতে না দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর আশপাশে কেউ হাঁচি দিতে থাকলে আপনারও সাবধান হয়ে যেতে হবে।
সূত্র : এমিরেটস

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here