একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের ভাবনা চৌগাছার যোগাযোগ ব্যবস্থা বড় ফ্যাক্টর

0
231

রিপোর্টার চৌগাছা (যশোরঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার ভোটাররা নানা হিসাব কসতে শুরু করেছেন। প্রায় এক যুগ ধরে ইচ্ছানুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারা, উৎসবের মুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারাসহ নানা বিষয় নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। আলোচনা হচ্ছে বর্তমান সরকারের আমলে আমরা কি পেয়েছি আর কি পাইনি। তবে বেশি আলোচিত হচ্ছে এ অঞ্চালের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে। আগামী নির্বাচনে সড়ক যোগাযোগ বড় একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর জন্য এমনটিই মনে করছেন উপজেলার সাধারণ ভোটারসহ সচেতন মহল।
সূত্র জানায়, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুকাংখিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশ নেয়ায় গোটা উপজেলা জুড়ে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনের হাওয়া। নির্বাচনকে ঘিরে যেমন আলোচনা হচ্ছে কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী আর কেই বা হচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির প্রার্থী। তবে নির্বাচনে প্রার্থী যেই হোক সেটি নিয়ে মানুষের যত না আলোচনা তার চেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে বিগত বছর গুলোতে বর্তমান সরকারের শাসনামলে কি পেয়েছি আর কি পাইনি তা নিয়ে। উপজেলা সদর থেকে শুরু করে শহরতলীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে এই সব বিষয়ে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর দৃশ্যমান তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি অভিযোগ সাধারণ ভোটারদের। এরপর অনুষ্ঠিত হয় বহু বিতর্কিত ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন। এই নির্বাচনের পরও কাংখিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ভারত সীমান্তের গা ঘেষে গড়ে উঠা চৌগাছা উপজেলাবাসি। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের ছোয়া না লাগায় সাধারণ মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের মুল্যবান ভোট প্রদানে এখন থেকেই হিসাব নিকাশ করতে শুরু করেছেন। চৌগাছা পৌর সদরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন মিলন বলেন, একযুগ ধরে চৌগাছা পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পৌর সদরের এই সড়ক দিয়ে সরকারের উচ্চ পদস্থ্য সব কর্মকর্তাসহ সাধারন মানুষ চলাচল করে। কিন্তু কেন কিসের কারনে এই সড়ক গুলো বছরের পর বছর নির্মান বা সংস্কার করা হয়নি তা আমার বোধগম্য নই। আগামী নির্বাচনে এই সড়ক একটি বিশাল ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াতে পারে। উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের ভ্যান চালক মশলেম উদ্দিন বলেন, চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের পূর্বপাশ দিয়ে ধুলিয়ানী যাওয়ার সড়কটি বিএনপি সরকারের আমলে নির্মান করা হয়েছিল। বিগত সরকার এই সড়কের জন্য একটি টাকাও ব্যয় করেনি। আমার মত সাধারণ মানুষ এই সড়কটি দিয়ে চলাচলে অসহনীয় কষ্ট বছরের পর বছর সহ্য করে আসছে। আগামী নির্বাচনে আমরা তাকেই ভোট দিবো যে সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করবে। পাশাপোল ইউনিয়নের হারুন অর রশিদ বলেন, চৌগাছা বাজার থেকে ছুটিপুর মোড় পর্যন্ত সড়কটির চরম বেহালদশা। প্রদি দিনই এই সড়কে কোন না কোন দূর্ঘটনা লেগেই আছে, কিন্তু এই বেহালদশা কোন জনপ্রতিনিধিদের নজরে আসেনি। চৌগাছা উপজেলাবাসির জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হচ্ছে চৌগাছা যশোর সড়ক। প্রায় এক যুগ ধরে এই সড়কটি ভালই হলো না, অভিযোগ সাধারণ মানুষের। চৌগাছা বাজার হতে চুড়ামনকাটি বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। ভাঙ্গা চোরা সড়কের কারনে যাত্রীদের যেমন দূর্ভোগ হচ্ছে তেমনি প্রতিটি যানবাহনেরও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ্য। আর দূর্ঘটনা তো নিত্য দিনের সঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে। সূত্র জানায়, একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন চৌগাছার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগাযোগ ব্যবস্থা বড় ফ্যাক্টর হয়ে সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here