একটু পরেই অন্ধকারে ঢেকে যাবে বাংলাদেশ

0
269

খবর৭১ঃ ২৫ মার্চ বিভীষিকাময় গণহত্যার কথা স্মরণ করে সোমবার রাতে ১ মিনিটের জন্য অন্ধকারে ঢেকে যাবে গোটা দেশ। এদিন রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে ‘ব্ল্যাকআউট’ তথা ‘নীরবতা পালন’ কর্মসূচি পালন করবে জাতি।

এদিন কেপিআইভুক্ত এলাকা (জরুরি স্থাপনা) ও চলমান যানবাহন ছাড়া গোটা দেশের মানুষ ওই ১ মিনিট দাঁড়িয়ে ও সব আলো নিভিয়ে একসঙ্গে নীরবতা পালন করবে। বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধা আর অবনতমস্তকে স্মরণ করবে সেই মানুষদের, যারা একাত্তরের ২৫ মার্চ বর্বর পাকিস্তানিদের বুলেটের মুখে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। এর পর থেকেই দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

মানব ইতিহাসের অন্যতম বর্বর নিষ্ঠুরতম গণহত্যার একটি রাত। একাত্তরের ২৫ মার্চের সেই রাত। গভীর রাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে হঠাৎই ট্যাংকের গর্জন শুনতে পায় ঢাকাবাসী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ জনসাধারণ জেগে ওঠে অনবরত গুলির শব্দে। বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম এবং বৃহত্তম এক গণহত্যার সূচনা হয় । পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ তারিখ রাতের এ অভিযানের নাম দেয় অপারেশন সার্চ লাইট। ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকান্ডই ছিলনা, এটার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধূলিসাৎ করে দেয়া।

অস্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকার ভাষ্য মতে শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। পরবর্তী নয় মাসে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে ৩০ লক্ষ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পূর্ণতা দিয়েছিল সেই ঘৃণ্য ইতিহাসকে।

তাদের সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ সবই ১৯৪৮ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ গৃহীত ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ শীর্ষক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বর্ণিত সংজ্ঞায় গণহত্যার চূড়ান্ত উদাহরণ।
খবর৭১/এস;

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here