একজন সফল উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস

0
314

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জীবনে এমন কিছু মানুষ সান্নিধ্যে আসেন, যাদের অমোঘ উপস্থিতি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে সুদূরপ্রসারী ছাপ ফেলে যায়। কোনো না কোনোভাবে একটি সুন্দর ও স্বপ্নিল জীবন বিনির্মাণে তারা নিয়ামক হিসেবে কাজ করে থাকেন। এমনকি সত্য ও ন্যায়নিষ্ঠ আলোর পথে এগিয়ে যেতে সেসব মানুষ দক্ষ অভিযাত্রীর মতো অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মুঠো মুঠো সর্বস্তরে বিলি করে যান আদর্শিক জ্ঞানের আলো। সমাজ ও জনপদ থেকে যাবতীয় অন্ধকার দূর করে আলোর রোশনাই দিয়ে সর্বত্র বিকশিত করে তোলেন। সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানিক চন্দ্র দাস স্যার তাদের অন্যতম একজন।
পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা শুধু নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে কিংবা স্বার্থান্ধে অন্যকে কাঁদাতে পারে। ভুলে যেতে পারে অতীতের সব কিছু। পাশাপাশি কিছু মানুষ এমনও রয়েছেন যারা নিজেরা কেঁদেও অন্যকে সুখী করার সদা চেষ্টা চালিয়ে যান।
নিজের কাজে ও কর্মে সদা-সর্বক্ষণ অবিচল ও পাহাড়ের মতো অটল থেকেছেন। হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন সব কিছু।
মানিক চন্দ্র দাস বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিক্ষার প্রথম স্তর। এই প্রথম স্তরের ভীত যদি শক্ত না হয় তাহলে পরবর্তী স্তরগুলোও দুর্বল হয়ে পড়ে। সুতরাং ভিত মজবুত করাই প্রধান লক্ষ্য। ভিত শক্তিশালী হলে আমাদের আর কোনো ভয় নেই। শিক্ষা যদি জাতির মেরুদন্ড হয় তাহলে আমাদের আর বিলম্ব করার সুযোগও নেই। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশ উন্নয়নে সবার ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন হওয়া জরুরি। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে গিয়ে নেতৃত্ব দিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত মজুবত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি। আমরা যদি প্রাথমিক শিক্ষার ভিত শক্তিশালী করি তবে আমরাও উন্নত বিশ্বের কাতারে শিগগিরই শামিল হতে পারব এবং নেতৃত্ব দিতে পারব।
কাজই মানুষকে মঞ্জিলে পৌঁছে দেয়। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কাজেরও বহুধা ক্যাটাগরি রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। সবার কাছে শিক্ষার গুরুত্ব যেমন অবধারিত মানিক চন্দ্র দাসের কাছেও তা ব্যতিক্রম নয়। প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার তালুকদার উজিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ,লিয়াকত আলী খাগহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক হাদিউল ইসলাম শ্রীকৃষ্ণপুর দিলালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হোসনা বেগম খাগহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বলেন আমরা স্যারের নেতৃত্বে শিক্ষার মান উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে যাবো কেননা স্যারের নেতৃত্বে কাজ করতে পেরে আনন্দিত, সব-সময় শিক্ষকদের বলতেন-সব শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু আপনাদের বিদ্যালয়ে যারা লেখাপড়া করছে, তারা যাতে ভালো মানুষ হতে পারে, সেদিকে শিক্ষকদের খেয়াল রাখার পরামর্শ প্রদান করতেন । মানিক চন্দ্র দাস সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পূর্নাচগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-স্বর্গীয় সুখময় চন্দ্র দাস । তিনি ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এস এস সি পাস করে, গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস সিলেট মদনমোহন কলেজ থেকে বি,কম পাস এবং কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,এড পাশ করে তিনি ধর্মপাশা উপজেলাতে ১৯৮৯ সালে সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৩ সালের প্রমোশনে শিক্ষা অফিসার হিসাবে দোয়ারা বাজার উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে বদলি হয়ে ছাতকে আসেন।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here