খবর ৭১ঃবিআরটিসি বাসের চাপায় বাম পা হারানো আতিকুন নেছা স্বস্তির (৫০) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি শ্যামলীর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি আছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্ঞান ফেরায় তাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে শিফট করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি অল্প অল্প কথা বলছেন। মাঝেমধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। রাতে এসব কথা জানিয়েছেন স্বস্তির মেয়ের জামাই তারেক হোসেন প্লাবন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর মোড়ে বিআরটিসির একটি বাস থেকে নামছিলেন স্বস্তি। তিনি এক পা ফেলার পর অন্য পা ফেরার আগেই বাসটি টান দেয়। এতে স্বস্তির বাম পায়ের ওপর দিয়ে বাসটি চলে যায়। প্রথমে তাকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে শ্যামলীর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
প্রথম দিনের অপারেশনে তার বাম পা ফেলে দেয়া হয়। পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কিছুটা কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তার স্বামীর নাম রফিকুল ইসলাম। ওই দম্পতির এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। আহত স্বস্তি ময়মনসিংহে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি উত্তরার সেক্টর-৯, রোড-১৩ এর ২০ নম্বর বাসায় থাকেন।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, দুর্ঘটনার মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় বিআরটিসি বাসের চালক ও হেলপারকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
খবর ৭১/ইঃ