ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা, আটক ৩

0
375

ফারুক ইফতেখার সুমন ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে এপর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৭ জন নেতাকর্মীদের আসামী করে গত মঙ্গলবার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ ধারা মূলে মামলা দায়ের করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই, নিরস্ত্র) মো. জুয়েল রানা। গ্রেফতারকৃত তিন জনকে বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
জানা যায়, বিএননির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ভুঁইয়া মণি ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকুসহ ২২ বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি দিয়ে একটি বিষ্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে মাইজবাগ থেকে আবুল কালাম ভুঁইয়া, আঠারবাড়ি থেকে নজরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বাদী এস আই জুয়েল রানা ও অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের আশেপাশে জরুরি এবং আইনশৃঙ্খলা ডিউটি করছিলেন। ওইদিন সকাল ১০ টায় মামলার বাদী সংবাদ পান ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ৪০/৫০ জন বিএনপি নেতা অবস্থান করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভাঙচুর করছেন। ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকান পাঠ বন্ধ করে দিয়ে চলে যান। ভয়ে পথচারীরা ছুটাছটি করতে থাকে। পরে তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে জনগণের যানমাল ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্যে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ২২ জন ও অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জন ‘দুস্কৃতকারী বিএনপি নেতা’ সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তিনি ঘটনাস্থল থেকে আট টুকরো কাঁচ, পাঁচটি লাল স্কচটেপের অংশ, পাঁচ টুকরো জর্দার কৌটার অংশ বিশেষ ও দুইটি লোহর রড আলামত হিসেবে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। তবে মামলার এজাহারে ঘটনা সাক্ষী হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মধ্য বাজারে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও নৈরাজ্য সৃষ্টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলের ‘বায়েজিদ বস্ত্র’ বিতানের মালিক মো. বায়োজীদ বোস্তামি জানান, তিনি তাঁর দোকানের সামনে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে দেখেননি। সকাল থেকে সারাদিন তিনি দোকানেই ছিলেন।
ঘটনাস্থলের বিপরীতে অবস্থিত সার ও কিটনাশক ব্যবসায়ী মো. হাফিজুর রহমান জানান, তিনি কোনো বিষ্ফোরণের আওয়াজ পাননি। সবকিছুই তো স্বাভাবিক ছিল। তাঁর দোকানটি খোলা ছিল।
ঈশ্বরগঞ্জ সিএনজি ও থ্রি-হুইলার শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মিয়া জানান, অটোরিকশা ও পিকআপ ভাঙচুর করার কোনো খবর তাঁর কাছে আসেনি।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, যানমালের নিরাপত্তার জন্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here