ঈদের ৩য় দিনেও ষাটগম্বুজ-মাজারও ইকোপার্ক গুলোতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

0
298

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বেরশিক বৃষ্টির কারনে ঈদের দিন ভ্রমন প্রিয় দর্শনার্থী বা পর্যটকের সংখ্যা একটু কম হলেও ঈদের ২য় ও ৩য় দিন বিশ^ ঔতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ এবং হযরত খান জাহান আলী’র (রঃ) মাজারে ছিলো পর্যটকদে উপচে পড়া ভীড়। এছাড়া দড়াটানা সেতু, মুনিগঞ্জ সেতু সহ বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্ট সেন্টার, শহরের রূপা চৌধুরী পৌরপার্কে দর্শণার্থীর সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতন। বিশেষ করে ষাটগুম্বজ মসজিদ ও খান জাহান আলীর মাজারে আসাা হাজার হাজার পর্যটকরা তাঁর স্থাপত্ত্য সমুহ দেখতে ভিড় করছেন। দেশী-বিদেশী এসব পর্যটকদের ভিড়ে উদ্বেলিত উৎসবের আমেজ সরগম হয় বাগেরহাট শহরতলীর বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজমসজিদ , খানজাহান আলীর মাজার ও দৃষ্টি নন্দন এলাকা গুলি। ঈদের ছুটি শুরুর সাথে সাথেই ঐতিহাসিক এই দুটি স্পটসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন রিসোর্ট, শহরের দড়াটানা নদীর পাড়ে অবস্থিত পৌর পার্ক এবং চন্দ্রম লেও ভিড় জমায় দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। এসব এলাকায় পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠায় হাজার হাজর দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় সামল দিতে রীতি মতো হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। এবার ঈদের ছুটিতে শুধু মাত্র ষাটগম্বুজ মসজিদ ও হযরত খানহাজান আলী’র (রঃ) মাজারে ভ্রমণ পিপাসু হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জেলা প্রতœতত্ত্ব বিভাগ সূত্রে জানাগেছে।
বাগেরহাট ষাটগুম্বজ জাদুঘরে খানজাহানের প্রায় ৬শ বছর আগের প্রাচনি পুরাকীর্তী, খুলনা থেকে দেখতে আসা তিন বান্ধবী নাঈমা ফেরদাউসী,লুৎফুন্নাহার ,রাবেয়া আকতার টুনি জানান, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের যাদুঘরে রাখা যা পুথি-পুস্তকে পড়ে জেনেছি সেই পুরাকীর্তির নিদর্শন আজ দেখতে পেরেছি। এখানে এসে প্রায় ৬শ বছর আগের খানজাহানের প্রচিন পুরাকীর্তির নিদর্শন নিজে চোখে দেখতে পেলাম, কিছুটা হলেও চিনেছি প্রচিন কৃষ্টিসংস্কৃতী কে আমার খুব ভালো লেগেছে। বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ইসলাম ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র স্থান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের দেশী-বিদেশী পর্যটকরা এখানে সারা বছরই পরিদর্শনে আসেন। ঈদের দিন বৃষ্টির কারনে পর্যাটকদের আগমন কিছুটা কম হলেও ঈদের পরদিন থেকে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। দৃষ্টিনন্দন এ দুটি স্থানে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত বহু সংখ্যক মানুষ ভ্রমনে এসেছে। মাজারের দীঘিতে মিঠা পানির কুমির দেখতে বেশি আনন্দ উপভোগ করছেন দর্শানার্থীরা।
খবর ৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here