ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত রাণীনগরের দর্জিপাড়ার কারিগররা

0
347

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: ঈদ মানে আনন্দ আর এই আনন্দের প্রস্তুতি নিতেই প্রতি বছরের মত এবারও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর রাণীনগরের দর্জিপাড়ার কারিগররা। বর্তমানে তাদের দম ফেলার ফুরসত নেই। দিনে ও রাতে দর্জিপাড়ার মেশিনের শব্দে মুখর দর্জির দোকান পট্টি এলাকা গুলো।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি পাড়ার কারিগররা। অনেকেই আবার ঈদের কেনাকাটার ভিড় জমার আগেই দর্জির দোকান গুলোতে পছন্দ মতো কাপড় কিনে তৈরি করতে দিচ্ছেন বিভিন্ন পোষাক। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে কারিগরদের। তবে এবারের ঈদে মেয়েদের পোশাকের চাপ বেশি। ছেলেদের বিশেষ করে পাঞ্জাবী তৈরির চাপ অনেকটা বেশি।

যে যত পোষাক তৈরি করতে পারবে সে তত অর্থ আয় করতে পারবে। তাই সারা বছরের জন্য অধিক আয় করাই বর্তমানে দর্জিপাড়ার কারিগরদের মুল লক্ষ্য। বছরের সব দিনে তো আর এই রকম কাজ হয় না। শুধু মাত্র ঈদুল ফিতরে কাজের চাপ বেশি। তাই দিন-রাত কাজ করে কারিগররা স য় করছেন তাদের বছরের আয়। তাই তাদের মাঝে এক কঠিন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। রাতভর সেলাই মেশিনের শব্দে সমাগম হয়ে থাকছে টেইর্লাস পট্টিগুলো। ছোট থেকে শুরু করে ভিআইপি দোকানের কারিগররা এখন দিনরাত ব্যস্ত। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। তবে গত বারের চেয়ে এবার প্রতিটি কাপড়ের দোকান গুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। ছোট ছোট দর্জির দোকানেও প্রচন্ড কাজের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবার।

কেনাকাটা করতে আসা মাসুদ, করিম, মরিয়ম ও হাসনা বেগম জানান, অনেক সময় তৈরি করা পোষাক পছন্দ হয় না। তাই কাপড় কিনে দর্জির কাছে তৈরি করার জন্য এসেছি। তাছাড়া আবার বেশি দিন হয়ে গেলে দর্জিরা কাপড় তৈরির অর্ডার নিতে চায় না। ঈদের সময় প্রতিটি দোকানে শেষ সময়ে এসে ভিড় বেশি হয়। তাই এবার একটু আগেই পোষাক তৈরি করতে দিচ্ছি।

দর্জিপাড়ার কারিগর মাসুদ, শোয়েব হোসেনসহ আরো অনেকেই জানান, বর্তমান সময় আমাদের কাপড় তৈরির মৌসুম। এই মৌসুমতো আর সারা বছর থাকে না। শুধু মাত্র ঈদুল ফিতরে বেশি হয়। তাই আমরা দ্বিগুন সময় কাজ করছি বেশি টাকা আয় করার জন্য। এবার ঈদের শুরুতেই কাজের অনেক চাপ। আমাদের কারখানায় দ্বিগুন সময় কাজ করতে হচ্ছে। তার কারণ ঈদের এই কটি দিন আমাদের কাজের মৌসুম।

রাণীনগর এশিয়া টেইর্লাসের মাষ্টার বিপ্লব জানান, এবার কাজের চাপ অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি। লোকজনেরা শেষ সময়ে এসে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাই কারখানায় কর্মরত কারিগরদের সারা রাতভর কাজ করতে হয় বলে তাদের মজুরিও একটু বেশি দিতে হয়। আমরা আশাবাদী অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাজের পরিমাণ অনেকটা বেশি হবে। তবে আমরা কাজের চাপের কারণে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি মজুরী আদায় করা হচ্ছে না।

স্কয়ার টেইর্লাসের মাষ্টার মো: আনোয়ার হোসেন জানান, আমি মূলত পাঞ্জাবী, সাফারী ও কাবলী সেট বেশি তৈরি করি। তাই আমার কাছে বর্তমানে এই সব কাজের চাপ অনেকটাই বেশি। আগের চেয়ে দ্বিগুন সময় কাজ করতে হচ্ছে। তবে আগামীতে কাজের চাপের পরিমাণটা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী।

সিটি টেইর্লাসের মাষ্টার লিটন জানান, বর্তমানে দর্জিপাড়ার কারিগর ও মাষ্টারদের দম ফেলার ফুরসত নেই। শুধু মাত্র এই কটি দিনই আমাদের কাজের মৌসুম। তাই কারিগররা তো একটু ব্যস্ত থাকবেই। এখনই তাদের আয় করার সময়।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here