ইয়ো ইয়ো পরীক্ষার বিরুদ্ধে শচীন

0
208

খবর ৭১ঃবিতর্কে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। জাতীয় দলে জায়গা পেতে হলে উত্তীর্ণ হতে হয় ইয়ো ইয়ো পরীক্ষায়। বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে এটাই যেন ভারতীয় দলে অলিখিত নিয়ম। ইতিমধ্যে ইয়ো ইয়ো টেস্টের বিপক্ষে মুখ খুলেছেন সুনীল গাভাস্কার থেকে শুরু করে গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথ।

এবার মুখ খুললেন শচীন টেন্ডুলকার। ভারতীয় দলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্ট একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন শচীন। তার মতে, দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত। নিজে কখনও ইয়ো ইয়ো টেস্ট দেননি।

শচীন বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ের কিছু কিছু মাপকাঠি সত্যিই জটিল। আমাদের সময়ে ইয়ো ইয়ো টেস্ট ছিল না। তখন বিপ টেস্ট হতো। বিষয়টা কমবেশি একই। তবে দলে ঢোকার ক্ষেত্রে সেটাই একমাত্র মাপকাঠি ছিল না। ফিটনেসের সঙ্গে খেলোয়াড়ের দক্ষতাও বিচার্য হতো। সুতরাং আমার মতে, ইয়ো ইয়ো টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুধু ফিট বা আনফিটের ওপর নির্ভর না করে, নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের দক্ষতার ওপরও জোর দেয়া উচিত।’

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে ইয়ো ইয়ো পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় দলে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ সামির। একইভাবে ধোনি চূড়ান্ত ফিট হলেও তার সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে সমালোচনা চলছে। তাই শচীনের দাবি যে একেবারেই অমূলক নয়, তা স্পষ্ট। ইংল্যান্ড সফরে টি ২০ সিরিজ জয়ের পর একদিনের সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে কোহলিদের।

টেস্টেও পরিস্থিতি একইরকম থাকলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করছেন শচীন। তিনি বলেন, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়েছে, তাতে আমাদের কুলদীপ, চাহালের মতো ওদের আদিল রশিদও সাহায্য পেয়েছে। টেস্টে উইকেটের চরিত্র একইরকম থাকলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা হয়তো সমস্যায় পড়বে।

তবে আমাদের স্পিনাররাও দাপট দেখাবে। আবার উইকেটে স্পিনারদের জন্য সুবিধা না থাকলে, লড়াইটা হবে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। কারণ ভারতীয় দলের ব্যাটিং গভীরতা রয়েছে। ভালো উইকেটে ওদের সহজে সমস্যায় ফেলা যাবে না।’ ওয়েবসাইট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here