ইরানের ওপর আবারো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে: নিকি হ্যালি

0
581

খবর: ইরান ও ছয় জাতির মধ্যে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা সম্ভবত বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। একই সঙ্গে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তিনি জানান।

আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে দেয়া বক্তৃতায় নিকি হ্যালি এসব কথা বলেন।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন এবং ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতার ধারা লঙ্ঘনের জন্য তিনি ইরানকে অভিযুক্ত করেন।

হ্যালি বলেন, ইউরোপের দেশগুলো ইরানের এই ভূমিকার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে কিন্তু আমেরিকা তা করবে না।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিথ্যা দাবি করেন, পরমাণু সমঝোতায় ইরানকে কিছু তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে কিন্তু পরমাণু স্থাপনাগুলো ও সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনের শর্ত দেয়া হয়েছিল। ইরান আন্তর্জাতিক ভালো প্রতিবেশী হিসেবে আচরণ করলে সমঝোতার অন্য পক্ষগুলোও তেহরানের সঙ্গে ভালো আচরণ করবে। কিন্তু এখনো ইরান সামরিক স্থাপনা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কী ধরনের পরমাণু গবেষণা করা হচ্ছে তা পরিদর্শন করতে দেয় নি।

পরমাণু সমঝোতা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ধরনের মিথ্যা কথা বলে আসছেন একই ধরনের মিথ্যার পুনরাবৃত্তি করেছেন নিকি হ্যালি।

ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করছে ইরান এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নজরদারিতে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘ ইরানের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয় নি।

শুধু বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে পারবে না ইরান। তেহরান সবসময় বলে আসছে- তারা কোনো পরমাণু বানাবে না; ফলে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর কোনো প্রশ্নও নেই।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here