ইবি ছাত্রলীগের উপর গুলি বর্ষণ:তীর প্রক্টরের দিকে

0
2666

 

ইবি প্রতিনিধি-

২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের উপর গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। দীর্ঘ দিন পর ইবি থানার তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মাহফুজ রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দায় স্বীকার করলেও সেখানে তিনি কারো নাম উল্লেখ করেননি। তবে গুলি করার নির্দেশ দাতার নাম প্রকাশ না করলেও তীর যাচ্ছেন তৎকালীন প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের দিকে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের যৌন কেলেঙ্কারী ও নিয়োগ বানিজ্যের অডিও ফাঁস হয়। অডিও ফাঁসের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ক্যাম্পাসের সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ মোবাইলে অডো কল রের্কড পক্ষে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। আবার কেউ আবার বিপক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছে। অডিও ফাঁসের বিষয়টি এখন টপ অব দ্যা ক্যাম্পাসে পরিনত হয়েছে।

তবে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যন বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন রাসেল তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে মোবাইলে অটো কল রেকর্ড সফটওয়ার স্থাপন করটা অসভ্যতা বলে একটি স্ট্যাটাস দেয়। স্ট্যাটাসটি নিয়ে ফেসবুকসহ ক্যাম্পাসে নানা জনের মুখে নানা মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। আলতাফ হোসেন রাসেলের স্ট্যাটাসে এসআই মাহফুজ রহমান মন্তব্য করেন, আমি আপনার কথা মানি না। কারণ বলা হল মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনে গুলি করবে এটা আমার নির্দেশ। গুলি করার পরিস্থিতি থেকেও মানুষ মেরে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি হল। যথারীতি মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গুলি করলাম। পরবর্তীতে বলা হল তোমাকে গুলি করতে কে বলেছে? আমি বললাম আপনি স্যার। সে বলল আমি বলিনি। আমি তখন রেকর্ডিংটা শুনালাম। আমার সেলফ ডিফেন্স দরকার। পলটিবাজ লোকের অভাব নেই। তাছাড়া ভয় কোথায়?

এসআই মাহফুজের মন্তব্যটি নিয়ে ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে নানা রকমের মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। তারা ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট ছাত্রলীগের উপর পুলিশের গুলির নির্দেশ দাতা হিসেবে ক্যাম্পাসের তৎকালীন প্রক্টরকেই দায়ী করছেন। তবে কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অডিও রেকর্ড নিয়ে তদন্ত করার পরামর্শ দিয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৎকালীন ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, প্রক্টর জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পুলিশকে ছাত্রলীগের উপর গুলি করার নির্দেশ দেয়। সেদিন শিবির প্রক্টরের পাহারায় মিছিল করে আর ছাত্রলীগ এর প্রতিবাদ করলে পুলিশ গুলি করে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক সিনিয়র শিক্ষক জানান, ‘অডিওটি নিয়ে তদন্ত করলে বোঝা যাবে কার নির্দেশে সেদিন গুলি করা হয়। যে ব্যক্তি দোষী হবে তাবে শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।

এদিকে পুলিশের গুলিতে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতিসহ প্রায় ২০জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গুলিবীদ্ধ হয়। এরপর থেকে ছাত্রলীগ প্রক্টরের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। ছাত্রলীগের আন্দোলনে ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মাহবুবর রহমানকে প্রক্টর পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here