ইবতেদায়ী শিক্ষকদের অনশন অব্যাহত

0
439

খবর৭১: অবস্থান কর্মসূচির পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তীব্র শীতে কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে শুয়ে শিক্ষকরা কর্মসূচি পালন করছেন। টানা ৪ দিনের অনশনে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ শিক্ষকদের অনেকের শরীরে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।

দাবির বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি কাজী রুহুল আমিন বলেন, ১৯৯৪ সালে জারি হওয়া একটি পরিপত্রে রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারগুলোর আমলে ধাপে ধাপে বেতন বাড়তে থাকে। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো বেতন বাড়েনি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে। ইবতেদায়ী মাদ্রাসাতেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রাথমিকের শিক্ষকেরা অনেক টাকা বেতন পান। অথচ ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ২ হাজার ৫শ’ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২ হাজার ৩শ’ টাকা ভাতা পান। এটা অমানবিক ও শিক্ষকদের অবমাননা।

মোহাম্মাদ আলী নামে এক শিক্ষক বলেন, বেতন-ভাতা না পেয়ে ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতনহীন চাকরিতে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে। এই শীতে মরে যাবো তবুও রাজপথ ছাড়বো না।

উল্লেখ্য জাতীয়করণের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করার পর ৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। এ কর্মসূচিতে শত শত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here