আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাট শহরে কদর বেড়েছে প্যাডেল ভ্যান ও রিক্সা। পরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভাড়াও গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন। ফলে ভ্যান ও রিক্সার এখন পথচারীদের একমাত্র ভরসা। জেলা শহরসহ উপজেলা শহরগুলোতে প্যাডেল ভ্যান ও রিক্সার কদর দেখা গেছে।
জানা গেছে, মহামান্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও রিক্সা চালানো বন্ধ করে দেন জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে গত সপ্তাহে সাঁড়াসি অভিযান চালিয়ে মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও রিক্সা চলাচল বন্ধ করেন জেলা পুলিশ বাহিনী।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ ও জেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালক মালিক সমিতি রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ৩ দিনের ঘর্মঘট পালন করছেন। তারা লোকাল সড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে লোকাল সড়কের যাত্রী সাধারন। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। চলমান অনার্স ও স্নাতক পরীক্ষার্থীরা। শহরে ছোট যানবাহনের সংকট মোকাবেলায় গ্রামীন পন্য পরিবহনের ভ্যান ও প্যাডেল রিক্সার কদর বেড়েছে শহরে। তবে সেটা চাহিদার তুলনায় অনেক কম হওয়ায় দ্বিগুনের অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
যাত্রী আরিফ, জুয়েল ও তারিক জানান, রেল স্টেশন থেকে ডিসি অফিসের ভাড়া ১০ টাকার স্থলে ভ্যানে যেতে হচ্ছে ২০ টাকায়। তবুও পাওয়া যাচ্ছে না ভ্যান ও প্যাডেল রিক্সা।
কলেজ ছাত্রী অনামিকা অনা বলেন, মহিষখোচা থেকে আদিতমারী লোকাল সড়কে অটোরিক্সায় ১০ টাকা ভাড়ায় আদিতমারী এরপর বাসে ১০ টাকায় কলেজ আসতেন। কিন্তু হঠাৎ অটো বন্ধ হওয়ায় অনেকেই কলেজ যেতে পারেননি। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীরা জন প্রতি ৫০ টাকা ভাড়ায় লালমনিরহাট সরকারী কলেজে আসতে হয়েছে ভ্যান গাড়িতে। এ দুর্ভোগ দ্রুত সমাধানে উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, মহাসড়কে ইজিবাইক চলাচল না করতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ। মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি চাওয়া ইজিবাইক চালক মালিক সমিতির এ দাবি আইন সম্মত নয়। তাই জনভোগান্তি লাঘবে লোকাল সড়কে ট্রাফিক আইন মেনে ইজিবাইক চলাচল করতে চালক মালিক সমিতিকে আহবান জানানো হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ