খবর ৭১ঃভারতের আসাম রাজ্যের দেখাদেখি দেশটির আরও দুটি রাজ্য নাগরিক তালিকা প্রস্তুত করতে চাচ্ছে। ইতিমধ্যে আসাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য। কথিত বাঙালি তাড়ানোর এ নাগরিক তালিকা প্রস্তুতকরণের (এআরসি) প্রধান সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা বলেন, নাগরিকদের তালিকা পুঞ্জিকরণের পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য।
ওই দুই রাজ্যের প্রতিনিধিরা বিষয়টির সরেজমিন অভিজ্ঞতা পেতে আসামে হাজির হয়েছেন। খবর টেলিগ্রাফের।
সোমবার আসামের এআরসি নাগরিকদের তালিকা প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৫ দশক ধরে যারা রাজ্যে বসবাস করছেন তারাও এ তালিকায় স্থান পায়নি। রাজ্যটির মোট ৪০ লাখ সাত হাজার ৭০৭ জন নাগরিক তালিকায় নেই। অর্থাৎ তারা রাষ্ট্রহীন।
আসামের মতো মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে বিদেশিদের তাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার টেলিগ্রাফকে হাজেলা বলেন, ‘নাগরিক তালিকা হালনাগাদকরণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে চায় মধ্যপ্রদেশ। ঝাড়খণ্ড ইতিমধ্যে তাদের সরকারি কর্মকর্তা আসামে পাঠিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারি না যে, তারা নাগরিক তালিকা প্রস্তুত করবে নাকি করবে না। এটা আমার কাজের সীমার মধ্যে পড়ে না। তবে এ দুই রাজ্য ছাড়া অন্য কোনো রাজ্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
কাউকেই তাড়ানো হবেন না : ভারতের সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছেন, আসামে যে ৪০ লাখ বাসিন্দার নাম এনআরসির খসড়া তালিকায় নেই, তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশ থেকে তাদের তাড়িয়ে দেয়া হবে না। দেশটির শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণেই এনআরসি তালিকা তৈরি করেছে। সেকারণেই শাসক দল বিজেপি এর দায় গায়ে মাখতে নারাজ। সরকার মুসলিম শরণার্থীদের টার্গেট করেই এ তালিকা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
এর আগে মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, কোনোরকম আতঙ্কের কারণ নেই। তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের বিতাড়ণ করা হবে না।
দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিজেপি- মমতা : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, আসামের নাগরিক পঞ্জীকরণ ইস্যু দিয়ে দেশকে ‘গৃহযুদ্ধ ও রক্তপাতের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিজেপি সরকার। মঙ্গলবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের কনফারেন্সে এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে রাজীব গান্ধীর চুক্তির জন্যই আসামে এ সংকট- মন্তব্য করে উত্তপ্ত সংসদে ঘি ঢেলে দিয়েছেন বিজেপি প্রধান অমিত শাহ। খবর এনডিটিভির।
খবর ৭১/ইঃ