মমিনুল ইসলাম বাবু, (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
বন্যা, খড়া, অতিবৃষ্টি পিছু ছাড়ে না, ভাঙ্গন এর উপর আছে অভাব অনটন। আর এটাই যেন চিলমারীর চরা লের চিত্র। কখনো বন্যা আবার কখনো ভাঙ্গন কেড়ে নেয় তাদের স্বপ্ন, ভেঙ্গে দেয় আশা এবং চলার প্রত্যাশা। সব হারিয়ে অনেকেই হয়ে গেছেন নিস্ব। নেই সহায়, নেই সম্বল তবুও তারা আকড়ে ধরে থাকে, চরা ছেড়ে যাওয়ার নেই কোন স্থল। ভাঙ্গনের তান্ডব লীলা আর ভয়াভহ বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা যখন খুঁজছিল আশ্রয় আর সেই সময় এগিয়ে এসেছিল সরকার, দিয়েছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আর “আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গড়ে উঠছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। আর ধীরে ধীরে প্রায় ৪শতাধিক পরিবার পেয়ে যায় মাথা গোজার ঠাই, দেখা পায় একটু শান্তির আশ্রয়। প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন আরো হাজারো পারিবার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিনে ১৯৯৮ সালে ৪টি ব্যারাক পরে ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে উঠে। ইতিমধ্যে ৫টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৬২টি ব্যারাকে বাড়িঘর হারা প্রায় ৪শতাধিক পরিবারের আশ্রয় মিলেছে। এবং ৪টি আশ্রয়ণ চলমান রয়েছে বলে যানা গেছে। আশ্রায়ণ প্রকল্প (২) এর আওতায় প্রায় ৪শতাধিক অসহায় পরিবার খুজে নিয়েছে তাদের সুখের ঠিকানা। তাদের দেখা মিলেছে মাথা গোজার ঠাই মুখে ফুঠে উঠেছে সুখের হাসি। সরেজমিনে বেশ কিছু আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, একটি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেশ কয়েকটি পাকা ব্যারাক। একটি ব্যারাকে কয়েকটি করে ঘর। এছাড়াও রয়েছে রান্না করার স্থান, পাকা স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ পানির নিমিত্তে টিউবওয়েল ঘরের সামনে রয়েছে শিশুদের জন্য খেলার স্থান। সবমিলে একটি করে আশ্রয়ণ যেন সাজানো গোছানো একটি আদর্শ গ্রাম। এসময় লক্ষ করা গেছে সকলের মাঝে যেন খুশির আমেজ এবং আনন্দ। এসময় বেশ কিছু সুবিধাভোগীর সাথে কথা হলে তারা আনন্দচিত্তে বলেন বাবারে হামরা নদী ভাঙ্গা মানুষ, সব হারিয়ে হামরা যখন পথের ফকির তখন শেখের বেটি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আর কষ্ট বুঝবার পাইছে। আর হামাক জায়গায় দিছে, ঘরও দিছে আরো সাহায্যেও দিচ্ছি হামরা এখন অনেক সুখি। এসময় তারা আরো বলেন এখন হামরা এক সাথে অনেকেই থাকপেরও পাচ্ছি, গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু পাখি পালন করতেও পাচ্ছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলা বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকেই আশ্রয়ন প্রকল্পের ধারণাটি আসে। এই জন্য “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার ” কথাটি বলা হয়ে থাকে। এটি একটি মহৎ কাজ আর এক প্রকল্পের অধিনে ছিন্নমূল পরিবারদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশ্রয়হীন মানুষ পাচ্ছে একটি ঠিকানা। উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ণের সরকার মানবতার সরকার এটাই আরো একটি প্রমান। আজ এই প্রকল্পের অধিনে জমি হারা, বাড়িঘর হারা অনেক মানুষ পেয়েছে একটি আশ্রয় একটি ঠিকানা।
খবর৭১/এস: