আমার মতো নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত নেতা আর কেউ নেই

0
231

খবর৭১ঃ বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আমার মতো অত্যাচারিত, নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত নেতা এ দেশে আর কেউ নেই। দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম, কেউ পাশে ছিল না। শত অত্যাচার আমাদের দমাতে পারেনি। শুধু মনের জোরে এগিয়ে চলেছি। শত ষড়যন্ত্র আমাদের ধংস করতে পারেনি’।

জাতীয় পার্টির দীর্ঘ পথচলার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অবিচার আর অত্যাচারে যে দল ভেঙে পড়ে না, সে দলকে কেউই ধ্বংস করতে পারবে না’।

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করে তোলো, যাতে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারে’।

বুধবার দুপুরে গুলশানের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে নিজের ৯০তম জন্মদিনের কেক কেটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে হুইলচেয়ারে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

নিজেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ বক্তব্য।

তিনি আরও বলেন, ‘স্ব-ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর পাঁচ দিনের মাথায় আমাকে জেলে যেতে হয়েছে। আমার ওপর নানারকম অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। মনে জোর ছিল বলে টিকে আছি। কেউ আমাকে দমাতে পারেনি’।

এর আগে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ এমপি বলেন, সবাই পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করুন, যাতে তিনি সুস্থ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন।

তিনি উল্লেখ করে বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরে উন্নয়নের যে রেকর্ড গড়েছেন তা কেউ ভাঙতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দেশটি গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বঙ্গবন্ধু পাননি। দেশ গড়ার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসংখ্য কীর্তি অক্ষয় হয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) এরশাদের কোনও ভুল চিকিৎসা হয়নি।

পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেন, ‘আজ শপথ নেয়ার দিন। আমরা শপথ নিচ্ছি, নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বই’।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে। জিএম কাদের পার্টি চেয়ারম্যানের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় গিয়ে এরশাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বুধবার দুপুর ১২টায় দলের নেতাকর্মীরা গুলশানের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে পার্টি চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল ও কেক নিয়ে হাজির হন আনন্দঘন পরিবেশে।

১২টার কিছু পরে ৯০ পাউন্ডের কেক কেটে নিজের জন্মদিনের উৎসবের সূচনা করেন বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাসুদা এম. রশিদ চৌধুরী এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মো. আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর অব. মো. খালেদ আখতার, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলহাজ মো. মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী।

এছাড়াও রওশন আরা মান্নান এমপি, নাজমা আখতার এমপি, আজাহার উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, মো. আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহজাহান, এমরান হোসেন মিয়া, আবু বক্কর, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, নুরুল ইসলাম ওমর, আশরাফ সিদ্দিকী, শেখ আলমগীর হোসেন, ইয়াহইয়া চৌধুরী, জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুল হক, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু, ইসহাক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মো. জসীম উদ্দিন, মুনিম চৌধুরী বাবু, মো. হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, মো. নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মাহমুদ, মো. বেলাল হোসেন, অনন্যা হুসাইন মৌসুমী, আনিসুর রহমান খোকন, লাকী বেগম, এম.এ. রাজ্জাক খান, শারমিন পারভিন লিজা, গোলাম মোস্তফা, হুমায়ন খান, লিয়াকত চাকলাদার, এটিইউ আহাদ চৌধুরী, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, আবু সাঈদ স্বপন, মোস্তফা কামাল, ক্বারী হাফেজ ইসারুহুল্লাহ আসিফ, মাহমুদ আলম, দ্বীন ইসলাম শেখ, আলমগীর কবির মজুমদার, এমএ কুদ্দুস মানিক, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here