খবর ৭১ঃ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩ ইউকেটে হারিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় ম্যাচটি শুরু হয়। এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারতের অধিনায়ক রোহিত শার্মা।
ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক মাশরাফি বলেছেন, ‘আমরা হৃদয় দিয়ে খেলেছি। আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়েছি। আমরা এটাই চেয়েছি।’
১২০ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। লিটন দাসের ১২১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ২২২। হারের ব্যাখ্যায় অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাটিং ও বোলিং- দুটোতেই আমরা ভুল করেছি। আপনি যদি আমাদের বোলিংয়ের দিকে তাকান, প্রতিবারই আমরা ২৪০-এর বেশি রান করে ম্যাচ জিতেছি। যেটা আমরা ব্যাটসম্যানদের কাছে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত বোলাররা সত্যিই খুব ভালো করেছে।’
শেষ দুই ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৯ রান। বিশেষজ্ঞ বোলার বলতে শুধু মুস্তাফিজের এক ওভার বাকি ছিল তখন। ৪৯তম ওভারটা মুস্তাফিজকে দিয়ে করান মাশরাফি। এই ওভারে ৩ রান দিয়ে মুস্তাফিজ নেন একটি উইকেট। শেষ ওভারে ৬ রানের সমীকরণে পার্ট-টাইম কোনো বোলারের হাতে বল দিতেই হতো। প্রথমে সৌম্য সরকারের হাতে বল দিলেও সিদ্ধান্ত পাল্টে মাশরাফি শেষ ওভারের দায়িত্বটা দেন মাহমুদউল্লাহকে। এই অফ স্পিনার তার সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করেন। প্রথম পাঁচ বলে দেন ৫ রান। শেষ বলে ১ রান আটকাতে পারেননি।
অনেকেই বলছে, মুস্তাফিজকে শেষ ওভারের জন্য কেন রাখলেন না মাশরাফি? এর ব্যাখ্যায় অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত যেভাবে রান তুলছিল, ৪৯তম ওভারে মুস্তাফিকে দিয়ে বোলিং করানোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ ওরা প্রতিটি বলে রান করছিল। সুতরাং ওই পর্যায়ে কোনো স্পিনারের হাতে বল দিতে পারতাম না।’