খবর ৭১ঃকত শুনবেন বর্ণবাদী গালি? আর পেরে উঠছিলেন না মেসুত ওজিল। তাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। এর পর অনেককেই পাশে পাচ্ছেন। সবাই সহানুভূতি দেখাচ্ছেন। তবে ব্যতিক্রম বায়ার্ন মিউনিখ সভাপতি উলি হোয়েনেস। ২৯ বছর বয়সী আর্সেনাল মিডফিল্ডারের অবসরের সিদ্ধান্তে মহাখুশি তিনি।
গেল মে মাসে লন্ডনে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওজিল। ওই সময় এরদোগানকে আর্সেনালের জার্সি উপহার দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরেক তুর্কি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ইকায় গুন্দোগান। মুহূর্তেই তাদের সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি জার্মানরা। তুরস্ক ও জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় বিপাকে পড়েন ওজিল। জার্মান গণমাধ্যম রীতিমতো তার ওপর মানসিক অত্যাচার করে। তাকে বিশ্বকাপ দলে না অন্তর্ভুক্ত করতে জোরালো দাবি জানায়। তা সত্ত্বেও দলীয় স্বার্থে এই মিডফিল্ডারকে স্কোয়াডে রাখেন কোচ জোয়াকিম লো।
তখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। বিপত্তিটা বাধে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে জার্মানি বিদায় নিলে। ফের রোষানলে পড়েন ওজিল। একপর্যায়ে মৃত্যুর হুমকি পান। শেষ পর্যন্ত বর্ণবাদ ও অসম্মানের অভিযোগ এনে জার্মানি জাতীয় দলকে বিদায় জানান তিনি।
হোয়েনেসের চোখে ওজিলের এ সিদ্ধান্তে জার্মানিরই লাভ হবে। ১৯৭৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যের ভাষ্য- আমি খুশি যে, অবশেষে একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার সমাপ্তি ঘটছে। সে কয়েক বছর ধরে জঘন্য খেলছিল। মনে পড়ে, ও সবশেষ ট্যাকল জিতেছিল ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে। ওজিলের ভাগ্য ভালো যে, তার বাজে পারফরম্যান্সে একটি ছবির সৌজন্যে আড়াল হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে বরাবরই বাজে খেলে আর্সেনাল। এর নেপথ্যেও ওজিল। হোয়েনেস বলেন, ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে ম্যাচ পড়লে আমরা নিশ্চিন্তে থেকেছি। কারণ আমরা তাদের দুর্বল জায়গাগুলো জানতাম। ওদের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা মিডফিল্ড। যেখানকার প্রধান ওজিল। আমরা তাকে নিয়ে রীতিমতো খেলেছি। আমাদের কাছে সে পাত্তাই পায়নি। তার দলও হেরেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে ওজিলের অনুসারী সাড়ে তিন কোটি। তাদের বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা নেই বলে দাবি করেন তিনি, তারা বাস্তব দুনিয়ায় থাকে না। ওদের ধারণা, তার একটি ক্রসই যথেষ্ট। যাহোক আমাদের এখন দেশের ফুটবল নিয়ে কাজ করতে হবে। সে সরে যাওয়ায় তার রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। আশা করি, কাজটি ভালো হবে। সার্বিক অর্থে জার্মানিরই লাভবান হবে।