আবরার হত্যাকাণ্ডঃ আটক ৬

0
643
আবরার হত্যাকাণ্ডঃ আটক ৬
ক্যাম্পাস থেকে বুয়েট ছাএলীগ শাখার ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল ইসলাম জিয়নকে আটক করেছে পুলিশ। ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেছেন, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শের-ই বাংলা হলে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান আবদুল বাতেন। তবে তিনি ছয়জনের নাম সুনির্দিষ্ট করে বলেননি। আবদুল বাতেন বলেন, এই ঘটনায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হবে।

তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আটক চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেনকে আটক করা হয়।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। পরে দিবাগত রাত তিনটার দিকে হল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। মারা যাওয়া আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।

ক্যাম্পাস থেকে বুয়েট ছাএলীগ শাখার ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল ইসলাম জিয়নকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি: মোশতাক আহমেদ

হলের যে কক্ষে আবরারকে পেটানো হয়, সেই কক্ষে চার শিক্ষার্থী থাকেন। তাঁদের মধ্যে যে তিনজন পলাতক, তাঁরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত সাহা, উপদপ্তর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবাবিষয়ক উপসম্পাদক ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইফতি মোশারফ। আরেকজন চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী, যিনি দুর্গাপূজার ছুটিতে দুই দিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here