আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ছাত্রদলের

0
295

খবর ৭১ঃ কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রদল। এসময় সংগঠনটি কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিজেদের সমর্থনের বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করে। আজ বুধবার কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলংকিত করেছে। তারা রাতের আধাঁরে শিক্ষার্থীদের উপর পাক হানাদার বাহিনীর আদলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রমাণ করেছে তারা কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি নয়। এই অবৈধ সরকার কোটার নামে আসলে সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ ও দলীয় লোকজনকে পদায়ন করছে। যেটা পুরো জাতির জন্য চরম দুঃখজনক একটি ঘটনা। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে যেসব ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পদ ছেড়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাতারে যোগ দিয়েছেন ছাত্রদল তাদেরকে সাধুবাদ জানায়। একই সাথে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চায়। নেতারা এসময় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ছাত্রলীগের সব কর্মকান্ড দেখে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, ঢাবি ভিসির বাসায় যারা আক্রমণ চালিয়েছে তারা এই অবৈধ সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের লোকজন। যৌক্তিক একটি আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ছাত্রলীগের সকল দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে ছিল, আছে এবং সবসময় থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র ভুমিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর যারা গুলি চালিয়েছে সেই সকল পুলিশকে চাকরীচ্যুত করে গ্রেপ্তার এবং ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ নিরস্থ শিক্ষার্থীদের উপর রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির মত বর্বরোচিত হামলা করেছে, সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী মোর্শেদা বেগমের যারা রগ কেটে দিয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তারা আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর গোলাম রব্বানীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করেছে। যে ভিসি ও প্রক্টর সাধারণ শিক্ষার্থীদের জান মালের নিরাপত্তা দিতে পারেনা তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা প্রোক্টরের দায়িত্ব পালনের অযোগ্য এবং দলীয় কোটাধারী সরকারি দালাল। নেতৃদ্বয় ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here