আট অর্থপাচারকারীর তালিকা ইন্টারপোলে

0
401
আট অর্থপাচারকারীর তালিকা ইন্টারপোলে

খবর৭১ঃ

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার করে যারা বিদেশে অবস্থান করছেন এমন আট জনের একটি তালিকা আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ইন্টারপোলের কাছে সাত থেকে আট জনের একটি তালিকা আমরা পাঠিয়েছি। আমাদের কাছে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি তালিকা আছে। সাত-আট জনের তালিকা এরই মধ্যে ইন্টারপোলে গেছে। তবে তাদের নাম আমি বলতে চাচ্ছি না, নাম বললে হয়তো তারা স্থান পরিবর্তন করতে পারে। ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়ে অন্য তালিকাও যাবে।

ইন্টারপোলের কাছে দুদক থেকে যাদের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যাপারে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা এসব তথ্য সংগ্রহ করি না। আমরা মূলত অন্যায়-অপরাধটাই দেখি। কেউ আমাদের অর্থ আত্মসাত্ করেছে কিনা বা আবার কেউ সরকারি সম্পদ আত্মসাত্ করেছে, এমন ব্যক্তিরা। কে প্রভাবশালী, আর কে প্রভাবশালী নন, তা আমাদের দেখার কথা না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধানের স্বার্থে দুদকের একটি টিম সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা ছিল, সেই অর্ডার আমাদের হয়ে আছে। টিমও প্রস্তুত ছিল, কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেখানে একটা সমস্যা হয়েছে।আরো পড়ুন : মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী লিন মরগেইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে মতবিনিময় করেন। এ সময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে দেশের সর্বস্তরে কার্যকর জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে দুদক। দুর্নীতি শুধু অপরাধের বিষয় নয়, এটি একটি গভার্ননেন্স ইস্যুও বটে। এ কারণেই দুদক দেশের তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের অধিকার সচেতন করা এবং স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য গণশুনানির মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গণশুনানি কার্যক্রমে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে দুদক তৃণমূল পর্যায়ে জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক প্রোগ্রাম এন্থিয়া স্পিংকস, অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রিডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত, দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, অক্সফাম বাংলাদেশের পলিসি এডভাইজর মঞ্জুর রশীদ প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here