খবর৭১:আজ রবিবার থেকে ইলিশ অভয়াশ্রম ও বিচরণক্ষেত্রগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রজননক্ষেত্রে সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
তবে এর বাইরের অন্যান্য পুকুর-বিল বা হাওর-বাঁওড় ও জলাশয় মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ ২২ দিন ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিরতণ করবে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা না মানলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযুক্তকে কারাদণ্ড কিংবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। দেশের সব মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় এই ২২ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ অভিযানও চালানো হবে।
জানা যায়, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমার আগের চার দিন, পূর্ণিমার দিন ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ এসে নদীতে ডিম ছাড়ে। একটি বড় ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পারে। বেশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্বিঘ্নে যাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে সে জন্যই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ লিফলেট, পোস্টার ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জেলেসহ সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, বরফকলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অন্য কোথাও থেকে বরফ আসতে না দেওয়া, নদীসংলগ্ন খাল থকে নৌকা বের হতে না দেওয়া, মাছঘাটসংলগ্ন বাজারের নৌকা ও ট্রলারের জ্বালানি তেলের দোকান বন্ধ রাখা, নদীর মধ্যে জেগে ওঠা চরের মাছঘাটগুলো বন্ধ রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
খবর৭১/জি