আগুনে ২৫ পরিবারের ৫০ টি ঘরসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই

0
240

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলী মুন্সিপাড়ায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫টি পরিবারের নারী-শিশু ও বৃদ্ধসহ ২ শতাধিক সদস্য বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। গতকাল (মঙ্গলবার) উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে নগদ অর্থ,শাড়ি, লুঙ্গি, চাল, ডাল, তেল, চিড়া বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের পুর্নবাসনের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত,নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলী মুন্সিপাড়ায় এক ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে উল্লিখিত এলাকার দেলোয়াল হোসেনের বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ঘরবাড়িতে। খবর পেয়ে নীলফামারী, সৈয়দপুর ও উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তার আগে ২৫টি পরিবারের ৫০টি টিন ও খড়ের ঘর, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, কাপড় চোপড়,স্বর্ণালংকার, ধান-চালসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা পরণের কাপড় ছাড়া কোন জিনিসপত্রই রক্ষা করতে পারেনি। ফলে ওই পরিবারগুলোর সর্বস্ব ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পরিবারগুলোর প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সর্বস্ব হারিয়ে বর্তমানে মাঘ মাসের কনকনে শীতের রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী র্কমকতা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন সরকার সোমবার (১৪ জানুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই দিন সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল,১ কেজি ডাল এবং ৩টি করে নতুন কম্বল প্রদান করেন।
সৈয়দপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার জানান, আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করে নীলফামারী প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here