আইসিসি বিশ্বকাপ: হেড টু হেড বাংলাদেশ-আফগানিস্তান

0
382

খবর৭১ঃ দ্বাদশ বারের মতো বসতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ। দ্বিতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চে খেলবে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। আর মাত্র ২৪ দিন পর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯। বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব টপকে আসন্ন আসরে মূল পর্বে নিজেদের টিকিট নিশ্চিত করে আফগানরা।

রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে প্রতিটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছে আফগানিস্তান। সে অনুযায়ী বাংলাদেশকেও মোকাবেলা করতে হবে আফগানদের। বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে মুখোমুখি ব্যাট-বল যুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার কাউন্টির ওয়েস্ট এন্ডে অবস্থিত দ্য রোজ বোল সাউদাম্পটনে আগামী ২৪ জুন বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

বিশ্বকাপের আসন্ন এই ম্যাচের আগেও দুই দল আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সর্বমোট সাত বার মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে চার বারই জিতেছে টাইগাররা। বিপরীতে আফগানদের জয়ের সংখ্যা তিন। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ মঞ্চেও সাক্ষাত হয় দুই দলের। সেখানে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ওডিআইতে সর্বপ্রথম মুখোমুখি হয় ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩২ রানে হারায় আফগনরা। আফগান অলরাউন্ডার সামিউল্লাহ শিনওয়ারীর ৯০ রানের অপরাজিত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান তুলে সফরকারীরা।

২৫৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১ রানে বিদায় নেয় দুই ওপেনার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল হক। এছাড়া নাসির হোসেন ও জিয়াউর রহমান ৪১ রান করে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারে ২২২ রানেই গুটিয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের দল। এতে প্রথম সাক্ষাতেই ২২ রানের জয় তুলে নেয় ক্রিকেটের নবাগত দলটি।

বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের সবশেষ সাক্ষাতও এশিয়া কাপে। গেল বছর দুবাইতে অনুষ্ঠিত এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দুই বার মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারলেও শেষ ম্যাচে আফগানদের হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করে টাইগাররা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ৩ রানের শ্বাসরুদ্ধ জয় পায় বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৯ রান তুলে টাইগাররা। দলের পক্ষে ৭৪ রান করেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ। ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমরুল কায়েস। এছাড়া ওপেনার লিটন দাসও খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। এতে আফগানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫০ রানের।

জবাবে হাশমতুল্লাহ শাহিদী ৭১ ও মোহাম্মদ শাহজাদের ৫৩ রানের উপর ভর করে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। শেষ ওভারে দলটির প্রোয়জন ৮ রান। বোলিংয়ে মোস্তাফিজ। প্রথম বলেই দুই রান তুলে নেয় রশিদ খান। এতে আফগানদের ৫ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ রানের। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই দ্য ফিজের বলে তার হাতেই তালু বন্দি হন রশিদ। শেষ পর্যন্ত ৩ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ দল। সে সাথে নিশ্চিত করে নিজেদের ফাইনালের টিকিটও।

২০১৫ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত অংশ নেয় আফগানিস্তান। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় বাংলাদেশকে। ঐতিহাসিক সে ম্যাচে আফগানদের ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে বিশ্বকাপের সপ্তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দল দুটি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে টাইগারদের ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব কয়টি উইকেটের বিনিময়ে ২৬৭ রান তুলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলের মুশফিকুর রহিম।

২৬৮ রানের কঠিন লক্ষ তাড়া করতে নেমে মাশরাফি-সাকিবের বোলিং তোপে ৪২.৫ ওভারে ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। এতে ১০৫ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি ৯ ওভার হাত গুরিয়ে ২ মেডেন সহ ৩ উইকেট তুলতে খরপ করেন ২০ রান। সাকিব আল হাসান নেন ২টি উইকেট। এছাড়াও রুবেল, তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহ্ নেন ১টি করে উইকেট।

আইসিসির ওডিআই র‌্যাংকিয়ে আফগানদের তুলনায় বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। ব্যাট-বল পারফরমেন্সেও এগিয়ে মাশরাফি বাহিনী। ধরনা করা হচ্ছে আসন্ন বিশ্বকাপের ম্যাচেও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাবে বাংলাদেশ দল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here