খবর৭১:যৌন হয়রানির উপর্যুপরি অভিযোগের দেয়াল পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী ব্রেট কাভানাই নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার সিনেটরদের ভোটে কাভানাকে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। একই দিনে প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেছেন ব্রেট কাভানা।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সর্বোচ্চ আদালত মূলত গর্ভপাত ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কিংবা এ ধরনের স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে থাকে।
রবিবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ৫১-৪৯ আসনে সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে কাভানা রিপাবলিকানদের ৪৯টি ভোট পেয়েছেন। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে রিপাবলিকান সিনেটর স্টিভ ডেইনেস ভোটের সময় অনুপস্থিত ছিলেন।
আর রিপাবলিকান লিসা মুর্কওয়াস্কি উপস্থিত থাকলেও কাভানাকে ভোট দেননি। তিনি শুধু তাঁর উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। এর আগের দিন ক্লোচার ভোটে তিনি কাভানার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে শুধু একজন জো মানচিন দলের বাইরে গিয়ে কাভানাকে ভোট দিয়েছেন। এতে ৫০-৪৮ ভোটে জিতেছেন কাভানা।
নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে কাভানার নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টিকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক বিজয় বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের আগে কাভানার মনোনয়নের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেন।
ভোটের সময় সাধারণ গ্যালারি থেকে বিক্ষোভকারীরা ‘লজ্জা লজ্জা’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে সেখান থেকে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
কাভানার নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার পর টুইটারে তাঁকে অভিনন্দন জানান ট্রাম্প।
তিনি এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাভানাকে ‘ডেমোক্র্যাটদের ভয়াবহ আক্রমণের’ মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ওই নারীকেও ( ক্রিস্টিন) ‘অপমানের’ মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে’।
তিনি জানান, তিনি শতভাগ নিশ্চিত, যে নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন, তিনি ভুল করে কাভানার নাম বলেছেন।
খবর৭১/জি