অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে আনতে বিশ্বের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

0
390

খবর৭১:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবপাচার বিরোধী আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিশ্বের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রকার হিংসা, ঘৃণা ও বৈষম্যমূলক আচরণের অবসানসহ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ রবিবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাণীতে শেখ হাসিনা আশা করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীগণ অন্যতম সহায়ক শক্তি। অভিবাসীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমৃদ্ধকরণে অভিবাসী কর্মীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

বাণীতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। বিদেশে গমনেচ্ছুক কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি।

এ ব্যাংক হতে অভিবাসী কর্মীগণ সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারছেন। রেমিটেন্স প্রেরণেও সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশনের ফলে বিদেশগামী কর্মীদের সেবাপ্রাপ্তি এবং নিয়োগকারী এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এ সকল পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এ পর্যায়ে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অভিবাসন বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা, কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অভিবাসীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ গৃহীত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে চলমান কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস একটি ভিন্নমাত্রা অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসরত অভিবাসী ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here