মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) : অবিস্বাস্য হলেও সত্য চৌগাছা বাজারে এক হালি কাগুজে লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আর ১ পিচ কিনলে আরও ২ টাকা বেশি অর্থাৎ ১২ টাকা। অথচ একই লেবু গত ২ মাস আগেও বিক্রি হয়েছে হালি ১০ থেকে ১৫ টাকায়। আর পাঁচ বছর আগে ১টি লেবু কেনা গেছে মাত্র ১ টাকায়। পবিত্র মাহে রমজান আগমনকে সামনে রেখে বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আসায় ইচ্ছাকৃত ভাবে এ সব প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, কাগুজে লেবু গ্রাম বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম। প্রতিদিন খাবার টেবিলে এই লেবু যদি এক ফাইল না থাকে তাহলে ওই দিনের খাবার যেন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই কাগুজ লেবু যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। বাজারে যথেষ্ট পরিমানে চাহিদা থাকলেও সে ভাবে যোগান নেই কগুজে লেবুর অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তাই ব্যবসায়ীরা যে যেমন ভাবে পারছে লেবুর দাম হাকিয়ে বিক্রি করছে। চৌগাছার প্রধান কাঁচা বাজার ঘুরে দেখ গেছে, সব ধরনের তরিতরকারীর যথেষ্ট যোগান থাকলেও কাগুজে লেবুর যোগান কিছুটা কম। দু’একজন ব্যবসায়ীর কাছে যা আছে তারা অত্যান্ত চড়া দামে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ লেবুর যোগান কম থাকায় দাম বেশি। তবে দাম খুব একটা যে কমবে তা বলা মুশকিল, কেননা রমজান সমাগত, সেই সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। তাই গরম ও রমজানে লেবুর ব্যপক চাহিদা থাকবে, সেকারনে দাম তেমন একটা কমবে বলে মনে হয়না। সূত্র জানায়, চৌগাছা উপজেলার প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে বর্তমান সময়ে কাগুজে লেবু বিচ্ছিন্ন ভাবে চাষ হচ্ছে। এক সময় সখের বশত বাড়ির অঙিনায় একটি দু’টি লেবুর গাছ রোপন করা হলেও এখন বলাচলে অনেকটাই বানিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু হয়েছে লেবুর। বিশেষ করে আম, পেয়ারা, কুল বাগান সহ বিভিন্ন আবাদি জমির পাশে লেবু গাছ রোপন করে ওই জমির ফসলকে বেড়া বানিয়ে রক্ষা করা হচ্ছে। এতে করে জমির মুল অংশের ফসল নিরাপদে ঘরে আসছে অন্যদিকে জমির পাশে লাগানো লেবু গাছ থেকে বাড়তি আয়ও হচ্ছে কৃষকের। বর্তমানে লেবুর ভরা মৌসুম না হলেও বাজারে মিলছে লেবু। কিন্তু দামের কাছে অসহায় সাধরণ মানুষ। বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বাজার ব্যবস্থাপনার অভাবে বরাবরই ক্ষতির সম্মুখিন আমাদের মত সাধারণ মানুষ। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, এ জনপদের মানুষের জন্য একটি কাগুজে লেবু তো আর অন্য কোথাও থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। এ অঞ্চলে চাষ হচ্ছে লেবুর। কৃষকরা সেই লেবু নিয়ে আসছে চৌগাছায় বিক্রি করতে। প্রতৃক মালিক একটি লেবু কত টাকায় বিক্রি করছে ? বড় জোর ৩ থেকে ৫ টাকা। অথচ সেই লেবু ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১০ থেকে ১২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে পন্যের মুল মালিক ও ক্রেতা সাধারণ। পবিত্র মাহে রমজানের আগে বাজার মনিটারিং করে এ ধরনের প্রতিটি পন্য জনসাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
খবর ৭১/ ই: