অপহরণের পর মসজিদের সিঁড়িতেই হত্যা করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ

0
322

খবর ৭১ঃ রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র শিশু মনির হোসেনকে (৮) অপহরণের পর মসজিদের সিঁড়িতেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে মো. আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহা নামে আরও দুজন ছিলেন।

এর পর মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেয় তারা। শুধু তাই নয়, শ্বাসরোধ করে মনিরকে হত্যার পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন এই হত্যাকারীরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন আজ বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।

ফরিদ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রংয়ের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, মৃতদেহের পড়নে থাকা গ্যাবাডিংয়ের ফুল প্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বর্ননা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রথমে আব্দুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল দুই বোনের সঙ্গে মাদ্রাসায় গেলে শিশু মনিরকে অপহরণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here