খবর৭১:নিজের ভূখণ্ডের মধ্যে অন্যের হয়ে ‘চাপিয়ে’ দেয়া যুদ্ধ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের উপজাতি পরিষদ বা লয়াজিরগায় বক্তৃতা দেয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
ইমরান বলেন, অনেক রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে আমরা দেশের ভেতরে চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ করেছি এবং এতে আমাদের আর্থ-সামাজিক বিন্যাস ভেঙে গেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ ইমরানকে উদ্ধৃতি করে জানিয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান এবং এর সেনাবাহিনী যা করেছে তা অন্য কোনও দেশ বা সশস্ত্র বাহিনী করেনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য আফগানিস্তানে শান্তি আসা দরকার, তাই অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মিলে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান তার ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে সোমবার সকালে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খানকে মিরানশাহ পরিদর্শন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
মূলত ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কথিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করেই এমন মন্তব্য করেছেন ইমরান খান। ওইসময় মার্কিন চাপের মুখে আফগান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। যা নিয়ে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন ইমরান। তখন তিনি বলেছিলেন, এটা পাকিস্তানের যুদ্ধ নয়।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কথিত সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন বাহিনী ও তার মিত্ররা আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় এবং পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশাররফ তাতে জড়িয়ে যান।
ওই যুদ্ধে যোগ দেয়ার কারণে পাকিস্তান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্র ইসলামাবাদের কৃতিত্ব কখনও স্বীকার করেনি বরং উল্টো পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করে। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওই ইস্যুতে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়।
খবর৭১/জি