খবর৭১ঃএক কলেজছাত্রীকে তুলে এনে ছুরিকাঘাত করার কথা স্বীকার করেছে রিমান্ডে থাকা বগুড়া শহর যুবলীগ সভাপতির ছেলে কাওসার আলম অভি (২২)।
রিমান্ডে অভি পুলিশের কাছে দাবি করেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। অন্য আরেকজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করায় অভি রাগের মাথায় ছাত্রীকে তুলে এনে ছুরিকাঘাত করেছে।
বুধবার অভিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
মামলা হওয়ার পর পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার মুখে মা নাসরিন আলম কাকলী গত রোববার রাতে ছেলেকে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এর আগে অভি তার ফেসবুক আইডিতে (কাওসার অভি অ্যাসিড) ওই ছাত্রীর সঙ্গে তোলা একান্ত ছবি শেয়ার করেন। সোমবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম তার দুদিনের (সোমবার ও মঙ্গলবার) রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বগুড়া পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অভি ওই কলেজছাত্রীকে তুলে এনে মারপিট ও ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছে। সে দাবি করেছে, ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
সম্প্রতি সে তাকে অবজ্ঞা করে অন্যজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তুলে এনে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শেখ ফরিদ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে অভি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে মামলার স্বার্থে এ মুহূর্তে তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
গত ৩০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালের ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা শনিবার বিকালে সদর থানায় অভি ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
রোববার রাতে অভির মা থানায় এসে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী তিনমাথা রেলগেট এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে অভি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসএসসি পাস করার পর শহরের ‘বিট’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪ বছরমেয়াদি ডিপ্লোমা অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়।
সেখান থেকে গত বছর পাস করেছে। সে তার মায়ের (যুবলীগ নেতা জয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী) সঙ্গে নিশিন্দারা উপশহর এলাকায় স্নিগ্ধা আবাসিক প্রকল্পে মোহনা অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করে।
বাবা ও তার পরিবার রাজনৈতিক, আর্থিক এবং সামাজিকভাবে প্রভাবশালী। তাই অর্থকষ্ট না থাকায় অভি বখাটে বনে যায়।
খবর৭১/এসঃ