অন্যের ঘর থেকে প্রেমিকাকে এনে বিয়ে, অতঃপর…

0
283

খবর ৭১:নড়াইলে এক তরুণীকে (২২) জোরপূর্বক তার স্বামীর ঘর থেকে এনে বিয়ে করে বাসর রাতে পালিয়ে গেছেন সোবহান সরদার (২৮) নামে এক যুবক। সোবহান এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগী তরুণী কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী তরুণীর ভাবি সাথী বেগম জানান, নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের শেখহাটি গ্রামের মৃত আব্দুর ছাত্তার সরদারের ছেলে কথিত পল্লী চিকিৎসক সোবহান সরদার দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কলেজছাত্রী ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

একপর্যায়ে ওই তরুণী বিয়ে করার কথা বললে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যান প্রেমিক সোবহান। এ সময় তরুণীর পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। এরপর থেকে সোবহান তাকে স্বামীর সংসার ত্যাগ করাতে বিভিন্ন কুৎসা ও প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেন।

এরও একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে স্বামীর সংসার ত্যাগ করাতে বাধ্য করেন সোবহান। এরপর গত বছর কথিত বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে গোপনে বসবাস করতে থাকেন সোবহান। কিছুদিন পর স্ত্রী (ভুক্তভোগী তরুণী) কাবিননামা চাইলে সোবহান দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর স্ত্রী নিজে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন বিয়ের বিষয়টি ছিল সাজানো নাটক।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন চাপের মুখে পড়ে গত ২৪ এপ্রিল ভোরে সোবহান প্রেমিকাকে নিয়ে যশোরের অভয়নগর দিঘির পাড় কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ রেজিস্টার মাওলানা মো. নাজিরের কাছে উভয়ই ইসলামি শরীয়া মোতাবেক বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর বাসর রাতেই সোবহান স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যান।

এ প্রসঙ্গে বিবাহ রেজিস্টার মাও. মো. নাজিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আমার কাছে তাদের বিয়েসম্পন্ন হয়েছে। কাবিননামার কপি পেতে সময় লাগবে।’

স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ভুক্তভোগী ওই তরুণী দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত সোবহানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সদর উপজেলার চেকহাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। বিষয়টি জটিল হওয়ায় এটি নিষ্পত্তিতে আমি অপারগতা প্রকাশ করেছি।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here