অনেক সংসদ সদস্যই বিএনপির নির্যাতনের শিকার : প্রধানমন্ত্রী

0
234

খবর৭১ঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় অনেক নেতাকর্মীকে অত্যাচার নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সময় অপারেশন ক্লিন হার্ট এর নামে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ওই সময় দেড়শ’জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী ছিলেন। এখানে অনেক সংসদ সদস্য রয়েছেন যাদের অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

আজ রবিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও মোস্তফা রশিদী সুজার ওপর আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এস, এম, মোস্তফা রশিদী সুজা একজন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ছিলেন। তিনি একজন প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এস, এম, মোস্তফা রশিদী সুজাকে হারিয়ে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাজুল ইসলাম চৌধুরীর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। তিনি মনে প্রাণে চেয়েছিলেন নির্বাচনটা যাতে হয়। এই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে তার আন্তরিকতা ছিল। ওই নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।

বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, তাজুল ইসলাম ও মোস্তফা রশিদী সুজা এতো তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এটা আমরা ভাবতেও পারিনি। তার পরও প্রকৃতির নিয়ম আমাদের মেনে নিতেই হবে।

তিনি বলেন, তাজুল ইসলাম একজন ভাল পার্লামেন্টেরিয়ান ছিলেন। তিনি সংসদে থাকলে আমাকে আর চিন্তা করতে হতো না।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, মোস্তফা রশিদী সুজা একজন সাহসী মানুষ ছিলেন। তার সাহসী ভূমিকার ফলে খুলনা আওয়ামী লীগ অনেক দুর এগিয়ে গিয়েছিল। ক্লীন হার্ট অপারেশনে তার উপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে এজন্য তার অকাল মৃত্যু হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও মোস্তফা রশিদী সুজা দু’জনই সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। তারা দু’জনই বিনয়ী ও ভাল মানুষ ছিলেন।

তিনি বলেন, তাজুল ইসলাম একজন চমৎকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ ছিলেন। দুজনই বিনয়ী, সদালাপী মানুষ ছিলেন।
সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, সুজা জীবনে অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে দলের প্রতি আনুগত্য ছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক কর্মী ছিলেন। শুধু রাজনীতিই নয়, তিনি একজন ভাল ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তিনি কখনো মাথানত করতেন না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও জামায়াত বিএনপি তার মতো জনপ্রিয় নেতাকে নির্যাতন করে হত্যা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল।

ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তাজুল ইসলাম ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনিও ন্যায়ের জন্য সারাজীবন লড়াই করেছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এস, এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ক্লীন হার্ট অপারেশনের নামে তার উপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে এর ফলে তার কিডনী, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অকেজো হয়ে অকাল মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ক্লীন হার্ট অপারেশনকে বিএনপি জামায়াতের সময় ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও এস, এম মোস্তফা রশিদী সুজার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

জাতীয় পার্টির সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, তাজুল ইসলাম একজন সংগ্রামী নেতা ছিলেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। অনেক দুঃসময়ে তিনি দলের প্রতি আনুগত্য ছিলেন। তিনি তাজুল ইসলাম ও সুজা’র আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

তাজুল ইসলাম একজন সদালাপী মানুষ ছিলেন। তিনি এমন একজন নেতা ছিলেন যার কাছে না বলতে কিছু ছিলো না। তার কাছে যে কোন কাজে গেলে হাসি মুখে তা করে দিতেন।

এছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা. সরকারি দলের সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, মনিরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, নুরুল ইসলাম ওমর ও ফখরুল ইমাম আলোচনায় অংশ নেন।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here