অচিরেই বাজারে আসছে সোনারগাঁওয়ের লিচু

0
510

জহিরুল ইসলাম মৃধা,সোনারগাঁও(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি: থোকায় থোকায় লিচুর ভারে হেলে পড়েছে ডাল। অনেক স্থানেই তাই বাঁশের খুঁটির ঠেক দেওয়া হয়েছে ডালের নিচে। সবুজ পাতার ফাঁকে কচি লিচুর থোকায় যেনো স্বপ্নই দুলছে লিচু চাষির।
বৈশাখের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাত ও হালকা ঝড় হলেও এখন পর্যন্ত মুকুল ফুটে গুটি হওয়ার লিচুর কোনো ক্ষতি হয়নি। স্বস্তিতে থাকা লিচু চাষিরা তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচুর গুটি আর গাছের পরিচর্যায়। বড় রকমের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের খঁড়ায় না পড়লে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী পরিমাণ লিচু ফলবে বলে আশা করছেন লিচু চাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রসালো লিচু উঠবে বাজারে।
সোনারগাঁওয়ের কদমী, চায়না-৩, মোজাফফরপুরি, এলাচি, বাদামি (পাতি) এ পাঁচ ধরনের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। তবে অন্য লিচু থেকে বর্তমানে কদমি লিচু চাষের প্রতি মনোযোগী হয়ে পড়ছে অনেকে। লিচুর মধ্যে সবার আগে বাদামি লিচু পেকে যায়। বাজারে আগে আসার কারনে এখানকার লিচুর কদর ও বেশী থাকে।
উপজেলার ভৈরবদী এলাকার লিচু চাষি বাহা উদ্দিন বলেন, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ বালাই থেকে গাছ ও ফলকে মুক্ত রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে বালাইনাশক। ভালো ফলনের লক্ষে লিচু গাছ আগাছা মুক্ত করা হচ্ছে।
তিনি জানান, অনান্য মৌসুমে চৈত্র মাস জুড়ে তীব্র তাপের সঙ্গে খরা থাকে। আর তাপের কারণে গাছের মুকুল জ্বলে খসে পড়ে। খরার কারণে গাছের গোড়ায় পানির দিতে হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে খরা ততোটা তীব্র হয়ে ওঠেনি। সেই সঙ্গে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেচের পানি সরবরাহ করতে হয়নি। যে হারে গুটি দেখা দিয়েছে তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ফলনে রেকর্ড হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশেক পারভেজ জানান, সোনারগাঁওয়ে প্রায় ৬০টি গ্রামে দুই শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। লিচুচাষের জন্য সোনারগাঁয়ে মাটি ও আবহাওয়া বিশেষ উপযোগী। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর লিচুর ফলন ভাল হবে বলে আশা করেন তিনি।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here