অচলাবস্থাতেই নতুন বছরে যুক্তরাষ্ট্র

0
296

খবর৭১ঃ মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ ইস্যুতে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন চলবে। বুধবার আরও একবার এই হুশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অধিবেশনেও দেয়াল নির্মাণ প্রশ্নের কোনো সুরাহা করতে পারেনি মার্কিন কংগ্রেস।

ফলে অনিবার্যভাবেই দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়াল সরকার অচলাবস্থা (শাটডাউন)। আগামী সোমবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করায় সরকারের অচলাবস্থা নিয়েই নতুন বছরে পা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও দ্য হিল।

গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একাংশে অচলাবস্থা বা শাটডাউন শুরু হয়। শাটডাউনের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারে প্রায় আট লাখ কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আকস্মিক সফরে ইরাক যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইরাকের আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার জনগণ একটি দেয়ালের দাবি করছে। দীর্ঘমেয়াদি শাটডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলে আসা ট্রাম্পের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান কতদিন তিনি অপেক্ষা করবেন। এমন প্রশ্নের জবাবে বুধবার তিনি বলেন, ‘যত দিন লাগে।’

বৃহস্পতিবার মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য অধিবেশনে বসে কংগ্রেসের উভয় কক্ষ সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ। তবে অচলাবস্থা কাটাতে কোনো সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারেনি।

আগামী সোমবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবির কথা জানিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতারা বলেন, সরকার সচল করতে চলতি সপ্তাহে কোনো ভোটাভুটির আশা করছেন না তারা। ফলে অচলাবস্থা ২০১৯ সালেও গড়াচ্ছে তা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে।

এদিকে আগামী সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হলে পেলোসিই স্পিকার হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাকে দায়ী করে ট্রাম্প বলেন, দেয়াল নির্মাণের অর্থায়নের বিরোধিতা করে নিজের স্পিকার হওয়া নিশ্চিত করেছেন ন্যান্সি।

যদিও শাটডাউন শুরু হওয়া এক সপ্তাহ আগেই স্পিকার হওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছেন ন্যান্সি। গত ১১ ডিসেম্বর ন্যান্সি ও সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমারের সঙ্গে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য শাটডাউন হলে গর্বিত হবেন তিনি।

তবে শাটডাউন শুরুর পর থেকেই ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করে আসছেন তিনি। ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করে আসছেন সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের খরচ মেক্সিকোর কাছ থেকে আদায় করা হবে।

মেক্সিকো ওই খরচ দিতে অস্বীকার করার পরে মার্কিন করদাতাদের কাছ থেকে এই অর্থ নিতে চান। ট্রাম্পের মতে, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে এই দেয়াল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here