ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম অনিয়মের খবর প্রচার করায় হবিগঞ্জে তিন সাংবাদিককে ব্যাট দিয়ে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

0
494
ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম অনিয়মের খবর প্রচার করায় হবিগঞ্জে তিন সাংবাদিককে ব্যাট দিয়ে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান
ছবিঃ মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।

খবর৭১ঃ

মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের খবর প্রচার করায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তিন সাংবাদিককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ই‌উপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে। বুধবার (১ এপ্রিল) বিকালে আউশকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগকারীরা জানায়, বিকালে আউশকান্দি বাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদে উপজেলা প্রতিনিধি সুলতানের ওপর হামলা করে হারুন চেয়ারম্যান। তিনি ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সুলতানকে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেয়ে দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান এবং চ্যানেল এস প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদ আহত হন।স্থানীয়রা সুলতানকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অপরদিকে আহত মুজিবুর ও বুলবুল নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আহত সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান হারুনের চাল বিতরণের অনিয়ম চিত্র তুলে ধরায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা চালিয়েছেন তিনি। সুলতানকে রক্ষা করতে গেলে আমার ওপরও হামলা করা হয়। এর আগেও চেয়ারম্যান হুমকি দিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন। কিন্তু ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি দেন ৫ কেজি করে। এ নিয়ে ফেসবুকে ‘আসুন অসহায় দিনমজুরদের মনের কথা শুনি’ শিরোনামে এক লাইভে সাধারণ মানুষের বক্তব্যসহ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক সুলতান। এরপরই হামলার ঘটনা ঘটে।ওসি আজিজুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছি। বিস্তারিত জানতে পারিনি।

এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্য বস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে বলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যা ন হলেও আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সাংবাদিকরা মামলা করলে আমরা আসামিদের গ্রেফতারের ব্যছবস্থা করবো। ইতোমধ্যে আমি আহত সাংবাদিকদের হাসপাতালে দেখে এসেছি।এই ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here