খবর৭১ঃ বিশ্বে যখন করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ক্রীড়া আসর কিংবা লক আউট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ এমন মুহূর্তেও বাফুফে নির্বাচন পেছাতে রাজী নয় বাফুফে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। যদিও দুই দিন আগে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে ফোন করে আগামী ২০ এপ্রিল নির্ধারিত নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন এই কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি বাদল রায়। যিনি নির্বাচনে কাজী মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণাও দিয়েছেন।
বাফুফে নির্বাচনের তারিখ পেছানো নিয়ে এখনো ভাবছে না, সেটা ওই দিনই বলে দিয়েছিলেন সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ। শনিবার (২১ মার্চ) বাফুফের নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঘোষিত ২০ এপ্রিল নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশন প্রধান মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা বাফুফে নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রথম সভা করলাম। এখন পর্যন্ত ২০ এপ্রিলকে সামনে রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করব। এর আগে বাফুফে আমাদেরকে ভোটার তালিকা হস্তান্তর করবে।’
চলমান করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে গেছে। এমন এক সময়ে শেষ পর্যন্ত বাফুফের ভোট কি সম্ভব হবে? নির্বাচন কমিশনের জবাব, ‘চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। ইতোমধ্যে সভা সমাবেশ সীমিতকরণ করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাফুফে নির্বাচনের ভোটের স্থান নির্বাহী কমিটিই ঠিক করবে। পাশাপাশি পরিস্থিতি নাজুক হলে পরবর্তী করণীয় কি হবে, সেটাও তারা নির্ধারণ করবে। নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করবে না।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা বাফুফে ভবনে নির্বাচন করার। প্রয়োজন হলে আমরা ভেন্যু পরিবর্তন করতে পারি। ফিফা-এএফসি’র সঙ্গে আমরা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির সভায় কাউন্সিলরের তালিকা অনুমোদিত হয়। চলমান পরিস্থিতিতে সংস্থা চাইলে টেলিকনফারেন্স বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় সভা করতে পারে।’